শিল্প বিপ্লবের কারণ ও ফলাফল ও ঐতিহাসিক পটভূমি আলোচনা কর।

শিল্প বিপ্লবের কারণ
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

শিল্প বিপ্লবের কারণ ও ফলাফল ও ঐতিহাসিক পটভূমি আলোচনা করতে প্রথমেই এর সম্পর্কে কিছু ধারনা জানা দরকার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, আধুনিক ধ্যান-ধারণা বিকাশ ও মানব কল্যাণ, সামাজিক চিন্তা সহ সামাজিক বিজ্ঞানের প্রতিটি বিষয়ের সাথে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণভাবে যে প্রত্যয়টি সংশ্লিষ্ট তা হল শিল্পবিপ্লব। শিল্প বিপ্লব মানব ইতিহাসে এমন একটি ঘটনা যা পৃথিবীর সকল কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। শিল্প প্রযুক্তি থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতির, সমাজবিজ্ঞান প্রতিটি বিষয়ের সাথে শিল্প বিপ্লব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সমাজ পরিবর্তন ইতিহাসে শিল্প বিপ্লব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা অবতীর্ণ। কৃষি নির্ভর সামন্ততান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থাকে ভেঙে শিল্প নির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে গিয়ে যে সামাজিক পরিবর্তন শিল্প বিপ্লব নিয়ে এসেছে তার তুলনা বিরল। তাই শিল্প বিপ্লবের কারণ ও ফলাফল আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব বিস্তারিতভাবে।

শিল্প বিপ্লবের কারণ

শিল্প বিপ্লব বলতে কি বুঝায়?

প্রখ্যাত অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ডব এর ভাষায়” শিল্পীর কাঠামো, সামাজিক সম্পর্ক উৎপাদন ও বাণিজ্যিক পরিমাণে পরিবর্তনের গতিধারা এত বেশি অস্বাভাবিক ছিল যে, “বিপ্লব” ব্যতীত কোন শব্দ দ্বারা এর পরিপূর্ণ বর্ণনা করা সম্ভব নয়”। শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে Professor Lady Williams বলেন, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ আর্ধ হতে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত জ্ঞান বিজ্ঞানের দ্রুত উন্নয়ন এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে তার ব্যবহারের ফলে মানব জীবনের যে পরিবর্তন এসেছে তাকেই শিল্প বিপ্লব বলে।

শিল্প বিপ্লব হচ্ছে কৃষিভিত্তিক হস্তশিল্প নির্ভর অর্থনীতি থেকে শিল্প ও যন্ত্রচারিত উৎপাদন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের একটি প্রতিক্রিয়া, যা অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডের শুরু হয় এবং সেখান থেকে বিশ্বের অনন্য অংশে বিস্তার লাভ করে। মূলত শিল্প বিপ্লব প্রথমে ব্রিটেন, ব্রিটেন, মহাদেশীয় ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং জাপানে শুরু হয়।

 

শিল্প বিপ্লবের ঐতিহাসিক পটভূমি বর্ণনা কর

শিল্প বিপ্লবের পৃথিবীর ইতিহাসে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট ও একদিনে রচিত হয়নি। দীর্ঘদিনের বিভিন্ন আবিষ্কার ও উৎপাদন ক্ষেত্রের উৎকর্ষতার একটি অভিচ্ছন্ন ধারা শিল্প বিপ্লব। শিল্প বিপ্লবের ঐতিহাসিক পটভূমি বলতে, শিল্প বিপ্লব সংক্রান্ত আলোচনায় প্রাসঙ্গিকভাবে যে বিষয়টি চলে আসে তা হল বাণিজ্য বিপ্লব। বাণিজ্য বিপ্লবের শিল্প বিপ্লবের পথকে সুগাম করেছে। বাণিজ্য বিপ্লবের উদ্ভবের শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয় এবং এর অবসানে শিল্প বিপ্লব চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। এ বাণিজ্যবাদী পুজিতন্ত্র বাণিজ্যিক পুঁজিবাদ এর যুগ বলতে ও ইতিহাসবিদরা মূলত ১৫০০ থেকে ১৭৫০ সাল কে বোঝেন।

শিল্প বিপ্লবের ঐতিহাসিক পটভূমিতে ১৫০০ থেকে ১৭০০ সাল কে এসময় উৎপাদন ব্যবস্থা ছিল মূলত কৃষি প্রধান। শহরের সংখ্যা ছিল খুবই কম। লন্ডন, পেরিস, নেপলস ও মিলন ছিল বড় শহর। অন্তোয়ার্প, আর্মস্টাডাম, লিসবন, সেভিল রোম, পালারমো ছিল মাঝামাঝি শহর। আর ছিল কয়েকটি ছোটখাটো বসতি। শহরগুলো ছিল শিল্প উৎপাদনের মূল কেন্দ্রবিন্দু, উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালিত হত প্রধানত গার্হস্থ প্রথাভিত্তিক। তৈরি হতো প্রধানত ঘরের আলবাবপত্র, রান্না ঘরের বাসনপত্র, চিনামাটির জিনিসপত্র, মোমবাতি, গৃহ নির্মাণের উপকরণ ও বস্ত্রাদি।

 

☞ আরো পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কী? বৈশিষ্ট্যসমূহ ও সফলতার পূর্বশর্তবলী

 

এসময় উত্তর ইতালি বা ফ্লান্ডার্সের প্রধান উৎপাদন ছিল উলের বস্ত্রাদি। এ সময় কার যত পুঁজিবাদের উদ্ভব ঘটে।বণিক পুঁজি পতিদের উদ্যোগের সময় সংগঠিত ছোট কারখানা ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। তবে এসব কারখানায় যান্ত্রিক ছোঁয়া না থাকায় উৎপাদন ছিল খুবই কম। অর্থাৎ এ সময় শুধু কৃষি পণ্য নয় বরং নতুন বাণিজ্যিক পণ্য উৎপাদনের প্রতি পুঁজিবাদীদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। ফোনের সামন্ততন্ত্র ভেঙ্গে বনি কি বুঝি গড়ে ওঠে যার চূড়ান্ত রূপ শিল্প বিপ্লব মূলত শিল্প বিপ্লবের ঐতিহাসিক পটভূমি আরো অনেক আলোচনার বিষয় কিন্তু এখানে সংক্ষেপে আলোচিত হলো।

 

শিল্প বিপ্লবের কারণ বা নিয়ামক আলোচনা কর

শিল্পী নিয়োগের যথেষ্ট মূলধন ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের সহায়ক কতগুলো শর্তের অন্যতম ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য এবং উপনিবেশ গৃহ থেকে শোষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত যথেষ্ট মূলধন। মূলধনের অনুকূল্য শিল্প বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করে।

  • যান্ত্রিক দক্ষতাঃ সর্বোপরি শিল্পের জন্য সার্বিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক যান্ত্রিক দক্ষতা গঠন সম্ভব হয়েছিল ব্রিটেনে, যার শিল্পায়নকে গতিশীল করে শিল্প বিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করে। জেমস ওয়াট ১৭৩৯ সালে বাষ্প চালিত ইঞ্জিন আবিষ্কার করলে জজ স্টিফেনসন তা নিয়ে রেলগাড়ি ইঞ্জিন নির্মাণ করেন যা যোগাযোগ ক্ষেত্রে সাধন করে নতুন বিপ্লব। এখানেই থেমে থাকে নি এই বাষ্প ইঞ্জিনের ব্যবহার বিস্তৃত হয় বাষ্পীয় পোত, ছাপাখানা, বস্ত্র শিল্প। এ সময় লোহা ও ইস্পাত এর ব্যবহারও আসে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন। লোহা গলানোর চুল্লি আবিষ্কৃত হয়।
  • বিরাট বাজারঃ ব্রিটেনের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের কারণে উপনিবেশগুলোতে এর দুর্বল বিস্তৃত বাজার ছিল।
  • দক্ষ শ্রমিকঃ এ সময়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশের রাজনৈতিক বা ধর্মীয় যোগাযোগের ফলে দক্ষ শ্রমিক ইংল্যান্ডে এসে বসবাস শুরু করে। এদের সংস্পর্শে এসে বৃটেনের শ্রমিকদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায় ফলে দক্ষ শ্রমিক শ্রেণীর উদ্ভব ঘটে যাওয়া শিল্প বিপ্লবের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এবং শিল্প বিপ্লবের কারণ গুলোর মধ্যে অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • বৈদ্যুতিক শক্তিঃ বৈদ্যুতিক শক্তি আবিষ্কার গোটা সভ্যতার চেহারাটাই পাল্টে দেয়, উৎপাদন কে করে সহজতোর। এখানেই থেমে থাকে নি বরং শুরু হয়েছে বিদ্যুৎভিত্তিক নব নব আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পূর্ণ হলো শিল্প বিপ্লব।

উপরে উল্লেখিত শিল্প বিপ্লবের কারণ গুলোর মধ্যে বেশ প্রতিটি বিষয়ের যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে আসছে। ইংল্যান্ড ও ব্রিটেন শিল্প বিপ্লবের গাড়লের মধ্যে অন্যতম।

 

☞ আরো পড়ুন : বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতি এবং কাঠামো সম্পর্কে আলোচনা কর।

 

শিল্প বিপ্লবের ফলাফল আলোচনা কর

শিল্প বিপ্লবের ফলাফলের শিল্প বিপ্লব বিশ্বের রাজনৈতিক ও সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অমল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এটি আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। এক কথায় উনবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক এবং ধ্যানধারণার ক্ষেত্রে যে বিরাট পরিবর্তন এসেছে তার মূল ছিল শিল্প বিপ্লব এর ফলাফল।
শিল্প বিপ্লবের ফলাফল নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:

  • জনসংখ্যা বৃদ্ধিঃ জনসংখ্যাবিশারদরা হিসেব কষে দেখেছেন যে শিল্প বিপ্লবের উল্লেখযোগ্য ফল হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
  • সম্পদ বৃদ্ধিঃ শিল্প বিপ্লব তোর যুগের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাওয়া জাতীয় আয় ও জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞান ও কারিগরি কলা কৌশল যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রক করতে শিখে যা তার সম্পদ বৃদ্ধিতে সদস্য সহায়তা করে। শিল্প বিপ্লবের ফলাফল হিসেবে যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্পর্কে সম্পদ ব্যক্তির আরেক কারণ।
  • জনসংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধির কারণঃ শিল্প বিপ্লবের পরে শিক্ষার প্রসার করতে থাকে। জনগণ স্বাস্থ্য সচেতন হয় এবং উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞান কে স্বাস্থ্যন্নতির কাজে লাগায় এবং ফলে বহু লোক মা’রা যেত। শিল্প বিপ্লবের পরে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষ প্রাকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে শেখে। প্রাচীনকালের গ্রাম কেন্দ্রিক শিল্প কাঠামোকে শিল্প বিপ্লব ধ্বংস করে দেওয়া জীবিকার সন্ধানে মানুষ শহরে বীর জমতে থাকে এবং শহরে জনসংখ্যা বেড়ে যায় আর উল্টো ফল হয় গ্রামের জনসংখ্যা ক্ষেত্রে। এগুলো শিল্প বিপ্লবের মূল ফলাফল।
  • দরিদ্র বৃদ্ধি ও অন্যান্য কুফলঃ শিল্প বিকাশ জাত সম্পদের সিংহভাগ মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিল্পপতি, ব্যাংক মালিককুক্ষিত করে ফেলে এবং এবার যাদের শ্রমের সম্পদ উৎপাদিত হতো তারা কেবল মজুরি পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতো। মজুরি বাড়াবার কোন উপায় তাদের ছিল না ফলে দরিদ্র বৃদ্ধি পায়।
  • সমাজের শ্রেণীবিভাজনঃ শিল্প বিপ্লবের ফলাফল এর মধ্য দিয়ে সমাজকে মোটামুটি দুটি শ্রেণীতে ভাগ করে ফেলে। মার্কস ও এঞ্জেলস বাস্তববাদী দৃষ্টি দিয়ে ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে শিল্প বিপ্লবের ফলাফল স্থাপিত হয়ে শিল্প সমাজ। এ সমাজেও দুটি প্রধান শ্রেণী সৃষ্টি হয়। যথা বর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত। পুঁজিবাদ পর্যাপ্ত পরিমাণে বিকশিত হওয়ায় বর্জোয়া শ্রেণীর ক্ষমতা সর্বোচ্চ স্তরে উন্নত হয় এবং প্রলেতারিয়েত ছাড়া অন্যান্য শ্রেণীর গৌণশ্রেণীর পর্যায় নেমে আসে।
  • আন্তর্জাতিকবাদের উদ্ভবঃ জাতীয়তাবাদের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিকতার আদর্শক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভাব ও আদর্শের পারস্পরিক বিনিময়ে সহজ হয়ে ওঠে। শিল্প বিপ্লবের ফলাফল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকবাদের উন্মেষ ঘটে।
  • শিল্প বিপ্লব ও অগণতান্ত্রিকতাঃ শিল্প বিপ্লবের আগ পর্যন্ত নবজাগরণ, সংস্কার আন্দোলন ও জ্ঞানালোকের প্রভাবে মানুষের মধ্যে স্বাধীনচিন্তা বিবেক জেগে উঠেছিলো। কিন্তু শিল্প বিপ্লব এসেছে প্রবণতাকে বাধা দেয়। যেকোনো কলকাতার খানা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হলে সেখানকার নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা সম্পর্কে শ্রমিকের কোন মত গহ্যের মধ্যে না আনা ছিল রীতি। অথচ এস শ্রমিকের পরিশ্রম করে ওঠে কারখানা শ্রীবৃদ্ধি। এ অবস্থা কে অগণতান্ত্রিক বলা হয়।

 

শিল্প বিপ্লবের উপসংহার

শ্রমিক শ্রেণীর ন্যায় সঙ্গত দাবিয়ে দেওয়ার প্রতি মালিকপক্ষের অনমনীয় মনোভাব শ্রমিক শ্রেনীকে বাধ্য করেছিল সংগঠন গড়ে তুলতে। পন্ডিত ব্যক্তিরা বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে সংগঠন তৈরি করা শৈল্প বিপ্লবের আগে হয়নি, শিল্প বিপ্লবের কুফল গুলো প্রকাশ হয়ে দেখা না দিলে গণতান্ত্রিক সংগঠন আবির্ভূত হতো না। শিল্প বিপ্লবের কারণ ও ফলাফল এর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক সংগঠন গুলো শ্রমিক শ্রেণীর অভাবে অভিযোগ প্রকাশের একটি বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। শ্রেণী সংগ্রামের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। মনে রাখা প্রয়োজন যে শ্রেণী সংগ্রাম হঠাৎ করে দেখা হয়নি। গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করার পর শ্রমিক শ্রেণী ব্যর্থ হয় সংগ্রামের পথ পা বাড়ায়। বৃটেনের শিল্প বিপ্লবের শুরু হয়েছিল এবং সংগঠনের জন্ম আগে সেখানে হয় কিন্তু পরে যে কোন শিল্পসমাজের মধ্যে এগুলো গড়ে ওঠে ও তাই বলা যেতে পারে শিল্প উন্নয়ন শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রমিক সংঘটি পরস্পরের সঙ্গে জড়িত।

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন : https://Facebook.com/rvwbd/

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*