গণসংখ্যা নিবেশন গঠনের ধাপ গুলো বর্ণনা কর [ অনার্স ৩য় বর্ষ ]

গণসংখ্যা নিবেশন গঠন
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

গণসংখ্যা নিবেষণের প্রধান লক্ষ্য হলো গণসংখ্যার বিভিন্ন দিক ও অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ও বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা। এটি কোন পরিস্থিতি নির্ধারণ করতে সাহায্য করে, যেমন রাষ্ট্র বা একটি অঞ্চলের জনসংখ্যা, ভূগোল, অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি। বিশ্লেষণ এবং নতুন তথ্যের উপর ভিত্তি করে গণসংখ্যার নিবেদন তৈরি করা হয়। এই প্রতিবেদন সাধারণত সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয় যারা গণসংখ্যার সমস্যা এবং সমাধান উপর বিশ্লেষণ ও নিরীক্ষণ করে। এর উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যানের গণসংখ্যা নিবেষণ গঠনের ধাপসমূহ কি কি? তা সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ননা করা হলো।

গণসংখ্যা নিবেশন গঠন

জেনে রাখা ভালো যে, তথ্য হলো প্রাপ্ত তথ্যের সমষ্টি, যা কোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সাধনাযোগ্য। এটি বিভিন্ন ধরনের ডেটা বা তথ্য থাকতে পারে, যা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ধরনের তথ্য বা সংস্কৃতির অনুমোদন করা হয়।

উপাত্ত হলো তথ্যের সংগ্রহের পদ্ধতি এবং ধরন, যা ব্যবহার করে তথ্য বা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মাধ্যমে তথ্যের মৌলিক উৎস ও প্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়।

পরিসংখ্যান কাকে বলে?

পরিসংখ্যান হলো সংখ্যাত্মক তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং বর্ণনা করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এটি প্রায় সমাজগতিক পরিবর্তন এবং প্রক্রিয়ামূলক নীতি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা, সেগুলি বিশ্লেষণ এবং তাদের অর্থপ্রদান বা বর্ণনা করা হয়। এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন দিক, যেমন জনসংখ্যা, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিস্থিতি ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়।

পরিসংখ্যান বিষয়ক হিসাব নিকাশ গণসংখ্যা নিভিশন থেকেই শুরু হয় । এ কারণেই গভীর মনোযোগের সাথে বিষয়টি অনুধাবন করা আবশ্যক।

গনসংখ্যা নিবেশন কাকে বলে?

গনসংখ্যা নিবেশন: তথ্য সারির কতগুলো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে শ্রেণী বা অংশে বিভক্ত করে পাশাপাশি কতগুলো গণসংখ্যা এবং প্রসঙ্গিক বিষয়াদি লিখে তথ্য প্রকাশ করলে যে তালিকা পাওয়া যায় তাই গনসংখ্যা নিবেশন।

 

☞ আরো পড়ুন : সঠিক রাষ্ট্রের উৎপত্তি মতবাদ : বিবর্তনমূলক বা ঐতিহাসিক মতামত

 

পরিসংখ্যানের গণসংখ্যা নিবেষণ গঠনের ধাপসমূহ কি কি?

  1. পরিসর নির্ণয়
  2. শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয়
  3. শ্রেণী ব্যবধান বা শ্রেণীব্যাপ্তি নির্ধারণ
  4. শ্রেণী সাজানো
  5. ট্যালি ও গণসংখ্যা নির্ণয়
  6. শ্রেণীর মধ্যবিন্দু নির্ণয়
  7. ক্রমযোজিত গণসংখ্যা নির্ণয়

 

পরিসর নির্ণয় : গণসংখ্যা নিবেশন প্রস্তুতির প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট তথ্যের পরিষদ নির্ণয় করা। পরিসর নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজন প্রদত্ত তথ্যসমূহ হতে সবচেয়ে বড় সবচেয়ে ছোট মান খুঁজে বের করা। এই সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে ছোট মানদ্বয়েন বিয়োগফল হবে পরিসর। তাই

পরিসর = বড় মান – ছোট মান

 

শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয় : গণসংখ্যা নিবষণে কয়েকটি শ্রেণি থাকবে এ ব্যাপারে সর্ব-সম্মত কোন নিয়ম নেই। তবে শ্রেণী সংখ্যা নির্ধারণের তথ্যের প্রকৃতি, মোট তথ্য সংখ্যা, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মানের পার্থক্য ইত্যাদি বিবেচনা করে সাধারণ জ্ঞান ও বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে শ্রেণী সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।

শ্রেণী ব্যবধান বা শ্রেণীব্যাপ্তি নির্ধারণ : গণসংখ্যা নিবেশন প্রস্তুত কালের শ্রেণী ব্যবধান বা শ্রেণীব্যাপ্তি নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শ্রেণী ব্যবধান বা শ্রেণীব্যাপ্তি নির্ধারণের জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী পরিষদকে ৫ অথবা ২৫ দ্বারা ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তার মধ্যবর্তী কোন কোন পূর্ণসংখ্যা কে শ্রেণীব্যাপ্তি ধরা হয়। নিম্নরূপ:

শ্রেণীব্যাপ্তি = পরিসর ÷ শ্রেণী সংখ্যা

 

শ্রেণী সাজানো : প্রদত্ত তথ্যসমূহ হতে সবচেয়ে ছোট মানকে শ্রেণীর বিরতির নিম্নসীমা ধরে তার সাথে শ্রেণীবিরতি যোগ করে শ্রেণীর উচ্চ সীমা পাওয়া যায়। সবচেয়ে ছোট শ্রেণীর নিম্ন সীমা সবচেয়ে উপরে থাকবে। এরপর ক্রমান্বয়ে বড় শ্রেণিগুলো লিখতে হবে। বিশেষ করে খোলা সীমা বিশিষ্ট শ্রেণীকরণ না করাই ভালো।

ট্যালি ও গণসংখ্যা নির্ণয় : বিচ্ছিন্ন উপত্যের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন চলকের মান যতবার দেওয়া থাকে তার সংখ্যা ট্যালি বা মিল চিহ্ন হিসেবে বসাতে হয়। অবিচ্ছিন্ন উপত্যের ক্ষেত্রে কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত উপাধ্যের সকল মানের জন্য শ্রেণীর ডান পাশের কলামে একটি করে নীল চিহ্ন (|) দিতে হয়। কিভাবে চারটি হলে পঞ্চম মিল চিহ্ন আড়াআড়ি কেটে দিতে হয়। বহির্ভূত পদ্ধতিতে কোন শ্রেণীর উচ্চ সীমার পূর্বের সংখ্যাটি পর্যন্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ধরা হয় কিন্তু শ্রেণীর উচ্চশিক্ষিতের পরেও নিম্ন শ্রেণীর সীমা বলে গণ্য হয়।

শ্রেণীর মধ্যবিন্দু নির্ণয় : প্রতিটি শ্রেণীর উচ্চ সীমা ও নিম্ন সীমার যোগফলকে দুই ধারা ভাগ করে শ্রেণীর মধ্যবিন্দু নির্ণয় করা হয়।

 

শ্রেনীর মধ্যবিন্দু = শ্রেনীর উচ্চসীমা + শ্রেনীর নিম্নসীমা ÷ ২

 

ক্রমযোজিত গণসংখ্যা নির্ণয় : গণসংখ্যা কে ক্রমান্বয়ে যোগ করে কর্মযোজিত গণসংখ্যা নির্ণয় করা হয়। উপর থেকে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে যোগ করে উর্ধ্বমুখী কর্মযোজিত গণসংখ্যা এবং নিচের দিক থেকে ক্রমান্বয়ে গণসংখ্যা কে যোগ করে নিম্নমুখী ক্রমজিত গণসংখ্যা নির্ণয় করা হয়।

 

বিচ্ছিন্ন গণসংখ্যা নিবেশন অল্প সংখ্যক উপাত্তের ক্ষেত্রে অধিক উপযোগী। এ নিবেশনের চলকের মান গুলো পৃথকভাবে দেখানো হয়। অবিচ্ছিন্ন গনসংখ্যা নিবেশন শ্রেণিসীমা থাকায় এর শ্রেণি মধ্যবিন্দু থাকে এবং উক্ত মধ্যবিন্দু সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে। পরিসংখ্যানের গণসংখ্যা নিবেষণ গঠনের ধাপসমূহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য ও উপাত্ত তৈরি করা যায়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন : https://facebook.com/rvwbd/

 

1 Trackback / Pingback

  1. অনার্স ৩য় বর্ষ সংখ্যাতাত্ত্বিক ভূগোল সাজেশন ২০২৪-২০২৫ | পরিসংখ্যান

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*