বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব | প্রধান প্রধান ভৌগলিক অঞ্চল

বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":2},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব ও পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভৌগলিক অঞ্চল গুলোর তালিকা। যা ভৌগলিক পরিবেশ ও অঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ভূগোলের গুরুত্ব অপরিসীম। পাঠের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য ও বিজ্ঞানসম্মত তথ্য পাওয়া যায়। নিচে পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভৌগলিক অঞ্চল ও বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।

বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল

ভৌগলিক গবেষণার উন্নতির সাথে সাথে ক্রমবর্ধনের হারে আঞ্চলিকতার ধারণা ক্রমশ পরিবর্তন হচ্ছে। তাই এর সর্ব গ্রাহ্য ধারণা দেওয়া কঠিন। একটি অঞ্চলকে অনেকগুলো ক্ষুদ্র এককের সমষ্টি হিসেবে অথবা বৃহৎ এলাকার একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

 

আঞ্চলিক ভূগোল কি বা কাকে বলে?

অনেক ভূগোলবিদ বিশ্ব অঞ্চলের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন যে:

⇨জি. আর. টেইলর এর মতে, ” একই রূপ নিয়ামক বিশিষ্ট সামান্য বিস্তৃত ভূপৃষ্ঠের একটি একক এলাকে অঞ্চল বলা হয়।”

⇨ডেভিড হার্ভেড মতানুসারে, ” অঞ্চল হলো ভূগোলের অন্যতম শ্রেণীর ধারণা এবং এটি ভৌগলিক অধ্যায়ন ও গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা মূলক এবং পদ্ধতিগত ভূমিকা পালন করে থাকে”

⇨রিচার্ড হার্টশোন ১৯৩৯ সালে অঞ্চলের সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে, ” আঞ্চলিক ভূগোলের উদ্দেশ্য হল কোন একটি এলাকার পরস্পর সম্পর্কিত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পরস্পরিক স্বতন্ত্রতা বা বৈষম্য প্রদর্শনের সব রকম জ্ঞানকে সংঘটিত করা; যার উপর নির্ভর করে পুরো ভূপৃষ্ঠের শ্রেণী বিভাজন কাঠামো পদ্ধতি করা যায়।

 

বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো

অঞ্চল একটি ভৌগোলিক প্রতিশব্দ; যা বিভিন্ন অর্থে ভূগোলের বিভিন্ন শাখায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণভাবে অঞ্চল হল একটি মাঝারি আয়তন স্থলবাব জলভাগ বুঝায়। যা পূর্তিপাদিত এলাকা সমুদয় অংশ হতে ক্ষুদ্রতর এবং কোন নির্দিষ্ট এলাকা বৃহত্তর। নিম্নে বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল পাঠের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো:

আঞ্চলিক সীমানার গুরুত্ব: আঞ্চলিক ভূগোল একটি অঞ্চলের ভৌগোলিক সীমানার অবস্থান নিয়ে আলোচনা করে। ভৌগলিক গুরুত্ব অনুসারে অঞ্চলকে সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রদান করে। সীমানার উপর অঞ্চলের আয়তন ও ব্যাপ্তি নির্ভর করে। অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে যে রেখা সমবৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বিভিন্ন স্থানকে অন্যান্য স্থান থেকে পৃথক করা হয় সে রেখাকে আঞ্চলিক সীমানা বলে। মানুষের সাংস্কৃতি নির্ভর করে আঞ্চলিক সীমানার উপর ভিত্তি করে। তাই বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল অঞ্চলের সীমানার কে গুরুত্ব সহকারী আলোচনা করে।

☞ আরো পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কী? বৈশিষ্ট্যসমূহ ও সফলতার পূর্বশর্তবলী

অঞ্চলের শ্রেণীবিভাগ এর গুরুত্ব: ভৌগলিক গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে অঞ্চল কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা; আনুষ্ঠানিক সমরূপী অঞ্চল বা বাহ্যিক অঞ্চল, কার্যকরী অঞ্চল এবং পরিকল্পিত অঞ্চল। আনুষ্ঠানিক অঞ্চলের একটি সমসত্ব বা সমরূপতা বিশিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল। কার্যকরী অঞ্চল একটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং অপরের মুখোমুখি ভৌগোলিক অঞ্চল।

ভূমিরূপ পরিবর্তনের গুরুত্ব: পরিবর্তন প্রক্রিয়া ভূমিরূপ এর অন্যতম আলোচ্য বিষয়। বর্তমানে পৃথিবীর যে অবস্থায় আছে কোটি কোটি বছর আগে এরকম অবস্থায় ছিল না। পৃথিবীর সৃষ্টির পর পাহাড় পর্বত নিমজ্জিত হয়েছে সমুদ্রগর্ভে, সমুদ্রগড়্ব উন্থিত সৃষ্টি হয়েছে সুউচ্চ পর্বতশ্রেণীর। ভূমিরূপে এ পরিবর্তন বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোলে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করে।

জনসংখ্যার গুরুত্ব: অঞ্চল এবং জনসংখ্যার মধ্যে একটি গুরুত্ব সম্পর্ক রয়েছে। পৃথিবী হাজার হাজার যুগ পেরিয়ে এসেছে। জলবায়ুর আবহাওয়া, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে জনসংখ্যার তারতম্য দেখা যায়। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে পৃথিবীর জনসংখ্যা খুব দৃঢ় এবং পরবর্তীতে তুলনামূলক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এ যে সময়ের সঙ্গে জনসংখ্যার পরিবর্তনের তারতম্য হচ্ছে তা হচ্ছে জনসংখ্যা পরিবর্তনের গতিধারা। ১৮৫০ সালের পর কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে বিপ্লবের উন্নয়ন হয় এর ফলে জনসংখ্যা আরো দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

অভিগমন: একে স্থান হতে অন্য স্থানে বসবাসের উদ্দেশ্যে গমন করা হচ্ছে অভিগমন। বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোলে অভিগমনের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আঞ্চলিকতার কারণে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যা অভিগমন করে থাকেন। অভিগমনের উচ্চস্থল ও গন্তব্যস্থল বলতে বাসগৃহ, গ্রাম, শহর, জেলা বা দেশ কোনটি হবে তা নির্দিষ্ট করে দেখা যায় না। মানুষ একটি বৈচিত্রপূর্ণ জীবগোষ্ঠী। এ মানুষ কখনো বসবাসের উদ্দেশ্যে বা কাজের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্যে বসবাসের স্থান পরিবর্তন করে অভিগমন করে থাকে।

উদ্ভাবন ও ব্যাপন: নতুন কোন কিছু সৃষ্টিকে উদ্ভাবন বলে। উদ্বোধন পদান্ত দুই প্রকার আকস্মিক ও পরিকল্পিত। বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোলে বিভিন্ন স্থানের ঘটনা প্রবাহ গুরুত্ব সহকারী আলোচনা করে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া কোন কিছুর উদ্ভাবন হলে তাকে আকস্মিক উদ্ভাবন বলে। সাধারণত ব্যাপন বলতে কোন ধারণা বা উন্নয়ন সময়ের ব্যবধানে কিভাবে বিভিন্ন স্থানে বা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে তাকে বোঝায়।

শিল্প এলাকার গুরুত্ব: বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল শিল্পের অবস্থান ও ভৌগলিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করে। মৎস্য, খনিজ, গ্যাস প্রভৃতির ভিত্তিতে অঞ্চলগুলো বিভিন্ন প্রকৃতির হয়। শিল্প এলাকার মানুষের সাথে পরিবেশের অবস্থানের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।

পৃথিবীর উপরে তলের একাধিক শক্ত স্তরের ভূত্বকীয় পাত বলে। কোটি কোটি বছর ধরে এগুলো পৃথিবীর উপরে তলে এসে জমা হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৭১% লবণাক্ত জলের মহাসাগর দ্বারা আবৃত। মহাদেশীয় অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে অবশিষ্টাংশ গঠিত হয়েছে। একটি অঞ্চলকে অনেকগুলো ক্ষুদ্র এককের সমষ্টি হিসেবে অথবা বৃহৎ এলাকার একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাই পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভৌগলিক অঞ্চল গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নিচে পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

 

পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চল

জাতিসংঘের মত অনুসারে পৃথিবীর ১০ টি পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভৌগলিক অঞ্চল দ্বারা গঠিত।এগুলো হলোঃ

  1. আফ্রিকা
  2. উত্তর আমেরিকা
  3. মধ্য আমেরিকা
  4. ইউরোপীয় ইউনিয়ন
  5. ক্যারাবিয়ান অঞ্চল
  6. এশিয়া
  7. দক্ষিণ আমেরিকা
  8. পূর্ব ইউরোপ
  9. মধ্যপ্রাচ্য
  10. ওশেনিয়া

বিশ্বের ভৌগোলিক অঞ্চল আঞ্চলিক ভূগোল অন্যতম আলোচিত বিষয়। কারণ এগুলোকে ভিত্তি করে বিশ্বের ভূ-রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয়। উপরোক্ত আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল কোন অঞ্চলের অধ্যায়নের মুখ্য বিষয়। বিশ্ব আঞ্চলিক ভূগোল পৃথিবীর সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বিভিন্ন দৃশ্যের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করে। তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম।

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন : https://facebook.com/rvwbd/

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*