মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : ঘরে বসে আয় ২০২৪

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ২০২৪

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : ঘরে বসে আয় ২০২৪

আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো, ২০২৪ সালে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায়, কিভাবে শিখবেন? কি কি মাধ্যমে আপনি Affiliate Marketing থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং ঘরে বসে আয় করার উপায়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই ধৈর্য ধরে সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ুন। আশা করি (Digital Marketing) ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সেক্টরটি আপনার সফলতার বিভিন্ন উপায় ও সুবিধা, অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ২০২৪

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সেরা উপায়, যার মাধ্যমে আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন তাও কোনো প্রকার সমস্যা ছারা ঘরে বসে আয় করতে পারেন। অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে তারমধ্যে এটি সেরা একটি মাধ্যম।

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যা প্রতিষ্ঠান ও কোনো ব্যক্তি ব্যবহার করে তাদের পণ্য এবং সকল পরিষেবাগুলো প্রচার করে থাকে। একটি প্রতিষ্ঠান তাদের এফিলিয়েট পার্টনারদের সাথে চুক্তি করে এবং তাদেরকে বিক্রেতা হিসেবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। ( যেমন আপনার একটি প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য অন্য কাউকে সেই প্রডাক্টি বিক্রি করার জন্য একটি মাধ্যমে বিক্রয় করার সুযোগ দিয়ে থাকে।) এফিলিয়েট পার্টনার তাদের ওয়েবসাইট, ব্লগ সাইট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করে এবং ক্লিক, বিক্রয়, লিড বা অন্যান্য সুবিধার মাধ্যমে যোগদান করলে কমিশন পায়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং, এফিলিয়েট পার্টনার একটি বিশেষ ট্র্যাকিং লিঙ্ক ব্যবহার করে যা তার প্রচারিত পণ্যের বা প্রডাক্টের ক্লিকসহ সকলকিছু ট্র্যাক করতে পারে। যখন কেউ এফিলিয়েট পার্টনারের প্রচারিত লিঙ্কে ক্লিক করে এবং একটি পন্য বা সেবা সম্পন্ন করে (যেমন ক্রয় করা, সাবস্ক্রাইব করা, ভিজিট করা, ফর্ম পূরন করা ইত্যাদি ), সিস্টেমগুলো ট্র্যাক করে এবং তার মাধ্যমে এফিলিয়েট পার্টনারকে যে পরিমাণ কমিশন প্রদান করা হবে তা নির্ধারণ করে থাকে। ২০২৪ সালে এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে অধিক পরিমাণ ঘরে বসে আয় করার সুবিধা দিয়ে থাকে।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কার্যকারিতার উপরে ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করা যেতে পারে। তার মধ্যে নিম্নলিখিত কয়েক প্রকার এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করা হলো:

  1. পে পার-সেল এফিলিয়েট মার্কেটিং (Pay-per-sale Affiliate Marketing): (Pay-per-sale Affiliate Marketing) এ মার্কেটার কেবলমাত্র কোনো বিশেষ প্রডাক্ট বিক্রয়ের মাধ্যমে কমিশন পায়। অর্থাৎ, আপনার যদি কোনো ব্লগ সাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ অথবা যেকোনো প্রকার Social Media থেকে এটি করতে পারবেন, যেখানে আপনার ফলোয়ার বা আপনার পোস্ট কন্টেন্ট অথবা ভিডিও কন্টেন্ট থেকে সরাসরি নির্দিষ্ঠ লিঙ্ক এর মাধ্যমে কেউ যদি কোনো প্রডাক্ট ক্রয় করে তাহলে সেখান থেকে আপনি একটি কমিশন পাবেন, যা আপনার একাউন্টে জমা হবে, যেকোনো সময় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা টাকা তুলে নিতে পারবেন। এভাবে মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
  2. পে পার-ক্লিক এফিলিয়েট মার্কেটিং (Pay-per-click Affiliate Marketing): (Pay-per-click Affiliate Marketing) এটি এমন একটি মাধ্যম যা প্রমোট করা লিঙ্ক থেকে প্রতিটি ক্লিকের জন্য কমিশন পাবেন। এখানে মুলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা একটি বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল লিঙ্ক ব্যবহার করে থাকে এবং যদি কেউ ঐ লিঙ্কে ক্লিক করে তবে মার্কেটারকে ওই এফিলিয়েট লিঙ্ক থেকে কমিশন দিয়ে থাকে। এটি আপনি যেকোনো মাধ্যমে করতে পারেন, যেমন: ব্লগ সাইট, ইউটিউব, ফেসবুক বা যে কোন প্রকার সোশ্যাল মিডিয়া।
  3. পে পার-লিড এফিলিয়েট মার্কেটিং (Pay-per-lead Affiliate Marketing): এখানে মুলত এফিলিয়েট মার্কেটার নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার মাধ্যমে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। যেমন; কোন ফর্ম পূরণ করা, অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়া, নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করা এছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।

 

এছারাও বিভিন্ন প্রকার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন বা আয় করতে পারবেন। মুলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব, তার মধ্যে থেকে আপনার কাছে কোনটি সহজ সেই পথটি বেছে নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। এটি করতে আপনার কাছে একটি মোবাইল থাকলেই হবে। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে, তবে মোবাইল ফোন দিয়েই এটি করা সম্ভব। শুরুর দিকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো?

আসলে আমরা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো?  আপনি যদি ভেবে থাকেন যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে এটি কেন করবেন তা সহজভাবেই বুঝতে পারেন। এটি মুলত ঘরে বসে আয় করার একটি উত্তম পদ্ধতি বলা যায়। যা আপনি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো? এর সহজ উত্তর আছে, তা নিচে আলোচনা করা হলো:

কম খরচ

আপনি যদি কম খরচে অধিক আয় করতে চান তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সেরা উপায়। কারন এখানে আপনার খরচ নেই বললেই চলে। কারন এখানে আপনার কোনো একটি প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। কোনো প্রকার ইনভেস্ট করতে হবে না। শুধু মাত্র আপনার প্ল্যাটফর্ম বা সোশ্যাল মিডিয়া অথবা ব্লগ সাইটে আপনার এফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে একটি সুন্দর রিভিউ করে কিছু কন্টেন্ট লিখে বা ভিডিও এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

নির্দিষ্ট কোনো স্কিলের প্রয়োজন নেই

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে এখানে নির্দিষ্ট কোন স্কেলের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে কারণ, এফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যাবহার করে নির্দিষ্ঠ ব্লগ সাইট, ইউটিউব ভিডিও অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে affiliate লিঙ্ক শেয়ার এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। তবে অবশ্যই কিছুটা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেমন, কিভাবে একটি ব্লগ সাইটে পোস্ট লিখতে হয়? কিভাবে একটি ভিডিও তৈরি করে সেখানে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রমোট করতে হয় এই সহজ কিছু ধারনা আপনার অবশ্যই জানা জরুরি। কারন ইনকাম যেহেতু বেশি সেখানে আপনার দক্ষতা অবশ্যই দরকার তবে এতে বেশি দক্ষ হতে হবে এমন নয়।

বিশ্বব্যাপী অধিক আয় করার সম্ভাবনা

Affiliate Markrting যেহেতু বিশ্বব্যাপী একটি মাধ্যম তাই এখানে আপনি নির্দিষ্ট কোনো দেশকে টার্গেট ছারাই অধিক আয় করতে পারবেন। কারন, এমন কিছু প্রডাক্ট বাছাই করতে হবে যাতে যা বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে, তবে আপনি চাইলে কোনো নির্দিষ্ঠ দেশকে টার্গেট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন, তবে এতে বেশি ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে আর যদি বিশ্বব্যাপী অধিক আয় করার টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করেন তাহলে ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্টগুলো ভালোভাবে জেনে এর সম্পর্কে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

ঘরে বসে আয় ২০২৪

মুলত, Affiliate Marketing এমন একটি মাধ্যম যা আপনি ঘরে বসে আপনার মোবাইল ফোন বা যেকোনো মাধ্যম দিয়ে শুরু করতে পারেন। এখানে আপনাকে বেশি সময় কাজ করতে হবে না, মনে করুন: আপনার একটি ব্লগ সাইট রয়েছে সেখানে নতুন কোনো প্রডাক্ট এর রিভিউ করলেন এবং সেখানে আপনি ওই ব্লগ পোস্টে প্রডাক্টটি ক্রয় করার জন্য আপনার Affiliate লিঙ্ক টি দিলেন, এখন আপনার এই ব্লগ যখন কোনো ভিজিটর ভিজিট করবে এবং যদি সে প্রডাক্টটি ক্রয় করতে আগ্রহী হয় তাহলে আপনার দেয়া লিঙ্ক থেকে সহজেই ক্রয় করতে পারবে, এজন্য শুধু মাত্র আপনাকে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটি ব্যাবহার করে SEO-Friendly আর্টিকেল লিখলেই হবে। এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।

মোবাইল ফোন দিয়ে আয়

২০২৪ সালে যারা শুরুর দিকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তাদের একটি মোবাইল ফোন থাকলেই হবে, কারন এতে আপনার কঠিন বা জটিল কোনো কাজ করতে হবে না। হয়তো কোনো ভিডিও, ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল বা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে শেয়ার করেই আয় করতে পারবেন। তাই বলা যায়, Affiliate Marketing এর জন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন যথেষ্ট। খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন, তাও আবার মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে। তাই আশা করা যায়, আপনি কেন এটি করবেন তা একটি সাধারণ ধারনা পেয়েছেন। তো এখন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আয় করবেন এবং কিভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

 

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়?

আপনি যদি বর্তমান সময়ে বা ২০২৪ সালে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? কিভাবে শুরু করবেন কি কি প্রয়োজন তা সম্পর্কে জানতে হলে আজকের পোস্টে নিচের দেয়া তথ্য গুলো ভালোভাবে পড়ুন আশা করি মোটামুটি এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

ডিভাইস বাছাই করুন

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য একটি ডিভাইস বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। কারন আপনি একটি ডিভাইস ব্যাবহার করে Affiliate Marketing শুরু করতে পারবেন। এজন্য ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি যেকোনো ডিভাইস বাছাই করে আয় করা শুরু করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের একটি ডিভাইস বাছাই করতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং নিস বাছাই করুন

আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চান তাহরে অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ঠ নিস বাছাই করতে হবে। করন, এতে বেশি পরিমান আয় করতে পারবেন।তবে মাল্টি-নিস নিয়ে শুরু করতে পারেন। তবে এতে কিছুটা কঠিন হবে শুরুর দিকে। তারপর থেকে পিছু ফিরতে হবে না। একটি ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল বা যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যদি ক্যারিয়ার গরতে পারেন তাহলে এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্যন করতে পারবেন। তাই আপনাকে শুরু করার আগে অবশ্যই নিস বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

২০২৪ সালের জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

বাংলাদেশে ২০২৪ সালে যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তারা উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলো থেকে খুব সহজেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম এফিলিয়েট ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে এগুলো অসাধারণ সুবিধা দিয়ে থাকে। এই সাইটগুলো বিশ্বব্যাপী চাহিদা রয়েছে তেমনে এতে অধিক আয় করতে পারবেন। এখানে আপনার চাহিদা মতো নিস অনুযায়ী মার্কেটিং করতে পারবেন। এসকল সাইটগুলোতে মাল্টি-নিস ক্যাটোগরি রয়েছে। তাই আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো নিস নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। নিচে কয়েকটি ২০২৪ সালের জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট এর লিস্ট করা হলো।

  • Daraz – ( Online Shopping Platform )
  • Amazon – ( Online Shopping Platform )
  • Hostinger – ( Domain & Hosting Platform )
  • Flipkart – ( Online Shopping Platform )
  • GoDaddy – ( Domain & Hosting Platform )

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায় ২০২৪

২০২৪ সালে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে যেকোনো একটি এফিলিয়েট সাইট বাছাই করতে হবে। তারপর ওই সাইট এর Affiliate network এ সাইন ইন করে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর পরবর্তী সকল ধাপগুলো পুরন করার পর আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে আয় করার জন্য উপযুক্ত হবেন। তবে এর জন্য বিভিন্ন সাইটে বিভিন্ন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট বা শর্ত থাকতে পারে। অবশ্যই আপনাকে সেই শর্ত অনুযায়ী যথেষ্ট তথ্য দিয়ে একাউন্ট এক্টিভ করকে হবে। যখন আপনার Affiliate network এর একাউন্ট এক্টিভেট হবে তারপর থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন।

 

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা?

মোবাইল ফোন দিয়ে আয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেরা একটি উপায় হতে পারে। কারন এখানে আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট, ইউটিউব বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুরু করেন এবং এতে যদি আপনার ফলোয়ারস বা ভিজিটরস বেশি থাকে তাহলে আপনার জন্য এটি একটি বিশেষ সুবিধাসহ আয় করার উপায় হবে। তবে এর জন্য মোটামুটি দক্ষতা অবশ্যই দরকার। দক্ষ হতে বিভিন্ন কোর্স ফলো করতে পারেন যার মাধ্যমে অধিক বিক্রি বা বেশি ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনি যদি ভেবে থাকেন এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার ক্যারিয়ারের জন্য সেরা হবে তাহলে আপনি এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তবে এর সুবিধা থাকার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে তারমধ্যে কয়েকটি আলোচনা করা হলো:

প্রতিযোগীতা : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যথেষ্ট প্রতিযোগীতামুলক একটি প্রক্রিয়া। কারন এতে ইনকাম বেশি তেমনি এতে সফলতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট প্রতিযোগীতা রয়েছে। তাই এতে সফল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে এর প্রতিযোগীতা বা ডিমান্ড অনুযায়ী যথেষ্ট কাজ করতে হবে। Affiliate Marketing এর সুবিধা যেমন তেমনি এতে সফলতার জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে অধিক পরিমাণ ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। তবে এটি বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

সময়সাপেক্ষ : Affiliate Marketing যদিও সহজ একটি ইনকাম করার সুবিধা দিয়ে থাকে তাই এতে সফল হতে আপনাকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। কারন, এতে প্রথমে শুরু করতে বেশি সময় এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সফল হতে হয়। তাই আপনাকে এই সেক্টরে সময় দিতে হবে।

এছারাও বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা থাকতে পারে, তবে যখনই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখবেন তখন আপনার ভালোভাবে সকল সুবিধা, অসুবিধা জেনে নিতে হবে।

 

২০২৪ সালে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার সহজ উপায়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি বেশি আয় করার সুবিধা পাবেন, তবে এটা যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে, দক্ষতা অর্জনের জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার বিকল্প নেই।তাই এর জন্য নিম্নলিখিত সহজ উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

1. ওয়েবসাইট এবং ব্লগ পড়ুন : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত সকল খুটিনাটি বিষয় জানার জন্য ওয়েবসাইট এবং ব্লগ পড়ুন যেখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে থাকে যেমন : কীভাবে একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম কাজ করে?, কীভাবে আপনি নিজেকে একটি এফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে নিবন্ধন করতে পারেন?, পেমেন্ট উইথড্র পদ্ধতি ইত্যাদি।

2. অনলাইন কোর্স : আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে যদি বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে অনলাইন কোর্স এর বিকল্প নেই। অনলাইনের কোর্সগুলি আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচিতি, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, প্রচার এবং প্রচারণা, উপাদান নির্বাচন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিবে এবং পেইড কোর্সগুলোতে আপনাকে কাজ করা পর্যন্ত সকল সুবিধা দিবে। অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিনামূল্যে বা ফ্রি তে এই ধরনের কোর্সগুলি পাওয়া যায়। যার মাধ্যমেও আপনি Affiliate Marketing Course করতে পারেন।

3. ইউটিউব ভিডিও: আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে পারেন। ইউটিউব টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ, কীভাবে শুরু করবেন ইত্যাদি পাবেন।

এছারাও বিভিন্ন উপায় আছে যার মাধ্যমে Affiliate Marketing শিখতে পারবেন। যা আপনার দক্ষতা অর্জনে যথেষ্ট ভুমিকা পালন করবে। তাই আপনি যদি ২০২৪ সালে নতুন করে শিখতে চান তাহলে অবশ্যই কোনো মাধ্যম অনুসরণ করে কাজ শুরু করতে পারেন।

শেষ কথা : আপনি যদি মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে চান এবং এর সকল কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, এর সুবিধা, অসুবিধা এবং ক্যারিয়ার কেমন হবে এবং ঘরে বসে আয় ২০২৪ সালে কিভাবে করবেন তা নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লাগবে।

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন :

Facebook Page : https://facebook.com/rvwbd/