
কম দামে ভালো ল্যাপটপ | বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ল্যাপটপ ২০২৩
আপনি কি একটি কম দামে ভালো ল্যাপটপ খুঁজছেন? তাহলে আপনার বাজেট অনুযায়ী চেস্টা করবো বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ল্যাপটপ কোনটি এবং কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো। ২০২৩ সালে কোন ল্যাপটপ ব্রান্ডের ল্যাপটপ, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোনটি ভালো হবে, গেমিং এর জন্য কোনটি ভালো
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য কোনটি ভালো হবে এবং ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় সকল খুটিনাটি বিষয় আজকের পোস্টে আলোচনা করবো। যা আপনার কম বাজেট অনুযায়ী সেরা ল্যাপটপ বাছাই করতে সুবিধা হবে। চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক:
বাজেট অনুযায়ী ভালো ল্যাপটপ বা কম দামে ভালো ল্যাপটপ খুঁজতে গেলে, বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ল্যাপটপ ব্রান্ডগুলোর মধ্যে যেমন আসুস, ডেল, এইচপি, এসার, লেনোভো ইত্যাদি। এদের সবগুলোই দ্রুত প্রসেসর, বেশি র্যাম এবং সঠিক স্টোরেজ এবং ভালো ব্যাটারি লাইফ দেয় এবং পাওয়ারফুল গ্রাফিক্স কার্ড এবং উচ্চ ডিসপ্লে রেজোলিউশন সাপোর্ট করে।অনেকেই ডিজাইন এবং ক্রিয়েটিভ প্রফেশনালদের পছন্দ করে এবং এগুলো গ্রাফিক্স এপ্লিকেশন, গেমিং, ফ্রিল্যান্সিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য সেরা ল্যাপটপ।
কম বাজেটে ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় বা বাছাই করার উপায়
ল্যাপটপ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সহায়ক যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেভাবে মোবাইল ফোন বাছাই করার উপায় তেমনি, বাংলাদেশে কম দামে ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় বা বাছাই করার উপায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন, কম দামে সেরা ল্যাপটপ বাছাই বা কম বাজেটে ভলো ল্যাপটপ চেনার উপায়গুলো আমাদের জীবনকে সহজ করে দেয়। আবার ল্যাপটপ কিনতে সঠিক নির্ণয় নেওয়া না হলে, আমরা অনেক সময় একটি খারাপ নির্ণয়ে পৌছতে পারি, যা আমাদের সময় এবং অর্থে নষ্ট করতে পারে।
কম বাজেটে ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় বা বাছাই করার উপায় এর জন্য প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে হবে যেমন :
উদ্দেশ্য নির্ধারণ করুন: প্রথম কাজ হলো ল্যাপটপ কেনা উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা। আপনি কি গেমিং, ফ্রিল্যান্সিং, বিশেষজ্ঞ কাজ, বিদ্যালয়ের জন্য, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা কোনও অন্য উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ প্রয়োজন করছেন, তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বাজেট নির্ধারণ করুন: আপনার ক্রয়ের বাজেট সীমানা নির্ধারণ করুন। ল্যাপটপের দাম একে অপরের তুলনা করার জন্য অনেক বেশি বাজেটের বিভিন্ন মডেল রয়েছে আবার কম দামে ভালো ল্যাপটপ আছে। তাই আপনাকে বাজেট নির্ধারন করতে হবে।
স্পেসিফিকেশন দেখুন: ল্যাপটপের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো প্রোসেসর, র্যাম, স্টোরেজ, ডিসপ্লে স্ক্রিন সাইজ, ব্যাটারি লাইফ, কার্ড রীডার এবং অন্যান্য ফিচার। আপনি এই ফিচারগুলির সাথে যে স্পেসিফিকেশন প্রয়োজন প্রাথমিকভাবে দেখে নিবেন।
ব্যবহারকারীর পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা: একজন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নিয়ে কম দামে ভালো ল্যাপটপ বাছাই করার জন্য চেষ্টা করুন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী এবং আপনার বাজেটের সাথে যে ল্যাপটপটি সেই তথ্যের সাথে মেলে তার উপর নির্ভর করে সেরা ল্যাপটপ বাছাই করুন।
ব্র্যান্ড এবং গ্যারান্টি দেখুন: সেরা ল্যাপটপ ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে কোনটি প্রতিষ্ঠিত এবং গ্রাহক সেবা সর্বোত্তম সেবা দেয়, তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। সাথে গ্যারান্টির ব্যাপারে যাচাই করতে হবে।
পোর্টেবিলিটি সুন্দরভাবে চেক করুন: ল্যাপটপ প্রয়োজন হলে পোর্টেবল হতে হবে, তাহলে একটি স্লিম এবং হালকা মডেল বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মত ও পরামর্শ নেওয়া: একটি ল্যাপটপ বাছাই করার প্রক্রিয়ার জন্য এবং সাহায্য পেতে আপনি একজন বেশি বিশেষজ্ঞের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন, একজন বিশেষজ্ঞ আপনাকে ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় গাইডলাইন দিতে পারবে।
একটি ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় হিসেবে নিচের বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ-
একটি নতুন ল্যাপটপ কেনার সময় কম দামে ভালো ল্যাপটপ বাছাই করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এবং পার্টস বিবেচনা করতে হবে। এই পার্টস এবং ফিচার গুলোর সঠিক জ্ঞান থাকলে আপনাকে কারো সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
প্রসেসর/সিপিইউ
প্রসেসর বা সিপিইউ এর ক্ষেত্রে ভালো ব্রান্ডের মধ্যে Intel এবং AMD দুইটি সব থেকে ভালো। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, Intel প্রসেসর দ্বারা পরিচালিত ল্যাপটপ প্রধানত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ভালো ব্যাটারি লাইফ, হাই কোয়ালিটি গেমিং এবং ভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন। আর AMD প্রসেসর এর ল্যাপটপের উপকারিতাগুলো হলো মূলত কম দামে ভালো ল্যাপটপ দিয়ে থাকে, যা পাওয়ারফুল মাল্টিটাস্কিং এবং ক্রিএটিভ কাজের পারফরম্যান্সের জন্য সেরা হবে।
যদি আপনার বাজেট ৩০,০০০ টাকা বা তার উপরে হয়, তাহলে আপনি Intel প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ নিতে পারেন। এই বাজেটে থাকা Intel ল্যাপটপ প্রসেসর সাধারণত ভালো পারফরম্যান্স দেয় এবং সম্পূর্ণ ব্যাটারি লাইফ সাপোর্ট করে এবং গেমিং এর জন্য ভালো হবে।
আর যদি আপনার বাজেট যদি ৩০,০০০ টাকার নিচে হয়, তাহলে আপনাকে AMD প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ নিতে হবে। এই বাজেটে থাকা AMD ল্যাপটপ প্রসেসর এর পারফরম্যান্স খুবই ভালো এবং কম দামে ভালো ল্যাপটপ অফার করে। এটা মূলত মাল্টিটাস্কিং এবং বিভিন্ন ম কাজের জন্য উপযুক্ত।
বাংলাদেশে ল্যাপটপ কেনার সময় আপনাকে নতুন প্রসেসর জেনারেশন এর ব্যাপার সম্পর্কে জানতে হবে এবং যেহেতু আপনার বাজেট ৩০,০০০ টাকা বা তার উপরে আছে, আপনি একটি Intel প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ নিতে পারেন। একটি নতুন ল্যাপটপ কেনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে Intel Core i5 বা Core i7 প্রসেসর যুক্ত একটি ল্যাপটপ সেরা গেমিং পারফরম্যান্স দিবে এবং সম্পূর্ণ ব্যাটারি লাইফ সাপোর্ট করে। যা এই বাজেটের মধ্যে সেরা গেমিং ল্যাপটপ বা এটা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য ভালো হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য এই ল্যাপটপ ভালো পছন্দ হতে পারে।
কিছু নতুন জেনারেশনের Intel Core i5 এবং Core i7 প্রসেসরের উদাহরণ হলো:
- Intel Core i5-11600K
- Intel Core i7-11700K
আপনি এই প্রসেসরগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনার পছন্দমত ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বাছাই করে নিতে পারেন। সেটা আপনার প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলোও অনুসরণ করবে, যেমন পর্যাপ্ত স্টোরেজ, র্যাম, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি। আপনি একটি ভালো ল্যাপটপ খুঁজতে সবসময় স্পেসিফিকেশন এবং ব্র্যান্ডের সমন্বয়ে দেখতে পারেন।
র্যাম (RAM)
র্যাম ল্যাপটপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যখন ল্যাপটপের প্রসেসরের পাশাপাশি র্যামটি কম হয়, তখন ল্যাপটপের প্রফর্মেন্স কমে যায়। এটির মানে হলেও ভালো প্রসেসর থাকলেও সঠিক র্যাম মেমরি না থাকলে সঠিক গতি পাওয়া যাবে না। এই জন্যে ল্যাপটপে প্রসেসরের শক্তি বিবেচনা করে র্যামের মাত্রাটি নির্ধারণ করা হয়।
আপনি যে ল্যাপটপ টি বাছাই করেছেন তার র্যামের ক্যাপাসিটি ল্যাপটপের পারফরমেন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাপাসিটি বড় হলে ল্যাপটপে বেশি তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে এবং সাথে অনেক কাজ একসাথে চলার সুযোগ থাকে। সাধারণত বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা 8 জিবি থেকে 16 জিবি র্যাম প্রাধান্য দেয়। এর মাধ্যমে আপনি গেমিং, ফ্রিল্যান্সিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজগুলো সহজেই করতে পারবেন।
সেরা ল্যাপটপ র্যামের স্পিড ও কাজের গতিকে প্রভাবিত করে। স্পিড বেশি হলে ডেটা প্রসেস করার সময় কম লাগে এবং ল্যাপটপ দ্রুত করে কাজ করতে পারে। স্পিডটি মেগাহার্টজ (MHz) এ পরিমাণ হিসাবে প্রকাশ করা হয়। সাধারণত বেশিরভাগ ল্যাপটপে DDR4 2400 এবং 3200 মেগাহার্টজের মধ্যে স্পিড থাকে এবং ডুয়াল চ্যানেল র্যাম আরো উন্নত করে। যখন ল্যাপটপে ডুয়াল চ্যানেল সমর্থন করা হয়, তখন র্যাম দুইটি চ্যানেলে সংযুক্ত হয় এবং ডেটা প্রসেস করার সময় দ্রুততর কাজ করে। এটি ল্যাপটপের পারফরমেন্স দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশে একটি ভালো ল্যাপটপেরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সাপোর্টেড র্যাম টাইপ। ল্যাপটপের মধ্যে সাপোর্ট করা হয় নির্দিষ্ট ধরণের র্যাম। যেমন, DDR3 বা DDR4। আপনার ল্যাপটপের মাদ্ধমে একটি র্যাম টাইপ সাপোর্ট করা হয় এবং সেই টাইপের র্যাম ইনস্টল করতে পারবেন। তাই ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় বা বাছাই করার জন্য এবং কেনার সময় নিশ্চিত করুন যে ল্যাপটপ সাপোর্ট করে সেই টাইপের র্যাম যেন থাকে।
আপনি যদি Core i3 প্রসেসর ব্যবহার করে ল্যাপটপ কিনেন, তবে অবশ্যই ৪ জিবি র্যামের ল্যাপটপ কিনতে হবে। কিন্তু Core i5 প্রসেসর ব্যবহার করলে ৮ জিবি র্যামের ল্যাপটপ কিনতে হবে এবং Core i7 প্রসেসর ব্যবহার করলে অবশ্যই ১৬ জিবি র্যামের ল্যাপটপ কিনতে হবে। এছাড়াও 8th, 9th, 10th, 11th এবং 12th জেনারেশনের ল্যাপটপের ক্ষেত্রে অবশ্যই DDR4 র্যামের ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে। এটি কারণে যে, DDR4 র্যাম অন্য র্যামের তুলনায় শক্তিশালী এবং দ্রুত গতিতে কাজ করে।
রোম (হার্ড ডিস্ক)
HDD একটি মেকানিক্যাল ডিস্ক যা একটি ম্যাগনেটিক স্পিনিং প্ল্যাটে তথ্য সংরক্ষণ করে। এটি একটি কাজ অনুযায়ী প্রয়োজন সম্পন্ন ম করে এবং এটির read করার সময় স্পিনিং প্ল্যাটের মধ্যে একটি ম্যাগনেটিক হিসেবে ব্যবহার করে। হার্ড ডিস্ক এর দ্বারা স্পীড প্রায়ই 100MB এর বেশি হতে পারে।
সময়ের সাথে সাথে সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) হার্ড ডিস্ক ড্রাইভকে উন্নত হিসেবে ধরা হয়। SSD একটি সিলিকন চিপ যা ভারি প্রয়োজন ব্যাবহার করে এবং তথ্য সংরক্ষণ করে থাকে। এটি একটি বেশ দ্রুত এবং স্থিতিশীল স্টোরেজ হিসাবে পরিচিত। SSD এর স্পীড হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে, প্রায় 600MB প্রতি সেকেন্ড। এটি স্পিনিং প্ল্যাট ব্যবহার করে না, তাই এটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের চেয়ে একটু দ্রুত এবং বেশি দ্রুত কাজ করতে পারে। এছাড়াও SSD এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো এর একটি অংশ একটি ফ্ল্যাশ মেমোরি চিপে ভিত্তিক হওয়ায় এর কাজ সহজ হয়। এটি পরিবর্তনশীল এবং শক্তিশালী হিসাবে পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে।
যারা হাই কোয়ালিটি গেমিং করে এবং ফ্রিল্যান্সিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে তারা এসএসডি ব্যবহার করে থাকে। কারণ এতে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে থাকে। তাই সকলের এটি বেশ পছন্দের একটি।
NVMe M.2 একটি মডার্ন SSD ফর্ম ফ্যাক্টর। এটি আকারে কম হওয়ার জন্য পরিচিত এবং বিশেষ করে গেমিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এই প্রশ্নে গেমারদের মধ্যে এটি এটি জনপ্রিয়। এই প্রকারের SSD গুলি একটি M.2 স্লটে সংযুক্ত হয় যা সরাসরি মাত্রা প্রদান করে। এই প্রকারের SSD স্পীড দ্বারা বিশেষভাবে ভাল হয়ে থাকে, প্রায় 4GB প্রতি সেকেন্ড সীমাবদ্ধ হতে পারে। এছাড়াও এই প্রকারের SSD গুলি একটি উচ্চ দ্রুতি এবং প্রদর্শন স্তর প্রদান করে এবং সিস্টেমের বুট এবং এপ্লিকেশন লোডের সময় কমায়। যা গেমিং এর জন্য সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে।
সুতরাং, হার্ড ডিস্ক প্রযুক্তিগুলি উল্লেখ করে বর্তমানে তিনটি প্রধান ধরনের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পাওয়া যায়: HDD, SSD এবং NVMe M.2 SSD। প্রতিটি প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ব্যবহারকারীরা তদের কাজ নির্ধারন করে।
ডিসপ্লে
সাধারণত 1366 x 768 সাইজের ডিসপ্লে হলো মোটামুটি HD এবং 1920 x 1080 সাইজের ডিসপ্লে হলো ফুল এইচডি। বর্তমানে HD ডিসপ্লে এর চাহিদা নেই বললে চলে। সে জন্য নতুন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই Full HD ডিসপ্লে এর ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করবেন। তাহলে হাই রেজুলেশনের ভিডিও দেখা, গেমিং করা ও গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে অনেক ভালো ল্যাপটপ ডিসপ্ল হবে।
ডিসপ্লে এটি গ্রাফিক্স কার্ড থেকে সংগৃহীত তথ্য প্রদর্শন করে এবং সাধারণত একটি স্ক্রিন ব্যবহার করে যা টেক্সট, চিত্র, ভিডিও ইত্যাদি প্রদর্শন করতে পারে। ডিসপ্লেগুলির সাইজ এবং রেজোলিউশন ভিন্নতা রাখতে পারে এবং এটি উচ্চ গুণমানে প্রদর্শন করতে পারে।
মাদারবোর্ড
মাদারবোর্ড হলো একটি কম্পিউটারের মূল সার্কিট বোর্ড বা PCB (Printed Circuit Board)। এটি কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টগুলির জন্য আলাদা আলাদা কম্পোনেন্টগুলি সংযুক্ত করে থাকে, যেমন প্রসেসর, মেমোরি, গ্রাফিক্স কার্ড, সাউন্ড কার্ড, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস ইত্যাদি। মাদারবোর্ড কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং তথ্য পাঠায় এবং তা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল দিয়ে থাকে।
ল্যাপটপ সাইজ এবং ওজন
ল্যাপটপের সাইজ এবং ওজন বিভিন্ন মডেল এবং ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে। ল্যাপটপের সাইজ সাধারণত 11 ইঞ্চি হতে শুরু হয় এবং সর্বাধিক 17 ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত, কম্পনেন্ট ল্যাপটপের ডিজাইন বিভিন্ন ফ্যাক্টর এবং ব্র্যান্ড অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। কিছু ল্যাপটপ মডেল স্লিম এবং লাইটওয়েট ডিজাইন ধারণ করে, যা পোর্টেবলিটি বৃদ্ধি করে এবং সহজে বহন করা যায়। অন্যান্য মডেলগুলি প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য বা গেমিং স্পেসিফিক ফিচার দেখাতে বিশেষ উপায়ে ডিজাইন করা হয়। ল্যাপটপের ডিজাইন বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন কীবোর্ড, টাচপ্যাড, স্ক্রিন সাইজ, পোর্ট সিস্টেম, কনেক্টিভিটি পোর্টগুলি, ক্যামেরা, স্পিকার, ব্যাটারি লাইফ, কালার অপশন ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
অপারেটিং সিস্টেম (সফটওয়্যার)
অপারেটিং সিস্টেম (OS) হলো একটি সফটওয়্যার যা একটি ল্যাপটপ বা ডিভাইসে চালায়। এটি হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে একটি মাধ্যম হিসাবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীকে তার কাজ নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধা দেয়। অপারেটিং সিস্টেম একটি ইন্টারফেস প্রদান করে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ল্যাপটপকে সহজেই নেভিগেট করতে পারে, প্রোগ্রাম চালাতে পারে, ফাইল ব্যবস্থাপনা করে।
☞ ২০২৩ সালে সেরা গেমিং ফোন বাছাই করার উপায় বিস্তারিত
২০২৩ সালে কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল হবে?
২০২৩ সালে কোন কাজের জন্য ভাল ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হলে আপনার উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা মন্য সম্পূর্ণ নির্ভর করবে। নিম্নলিখিত কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
২০২৩ সালে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো?
আমাদের দেশে বর্তমানে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা কাজের সময় ল্যাপটপ ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকেন। ল্যাপটপ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায়। এই কারণেই ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে অনেকেই একটি কম দামে ভালো ল্যাপটপ কিনতে আগ্রহী হন।এতে আর্থিক স্বাধীনতার সাথে সংযুক্ত থাকা, স্বয়ংক্রিয়তা এবং সময়ের সহজতম ব্যবহারের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশায় ল্যাপটপ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে বাজারে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ভালো ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো আপনাদের কাজে সহায়তা করতে পারে। নিম্নে কিছু কম দামে ভালো ল্যাপটপ এর নাম দেয়া হলো :
- Asus Vivo Book 15 K513EA Core i5 11th Gen 15
- Lenovo ThinkPad X1 Carbon Core i5 7th Gen Laptop
- HP Elitebook x360 1030 G3 Core i5 8th Gen Notbook
- HP EliteBook 840 G5 Core i5 8th Gen 8GB RAM 256GB SSD
২০২৩ সালে গেমিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো?
২০২৩ সালে, গেমিং এর জন্য ল্যাপটপগুলি গেমারদের চাহিদা পূরণে অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য এবং সেরা পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম। সেরা গেমিং ল্যাপটপগুলি খুঁজে পেতে আপনার গেমিং অভিজ্ঞতাও উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হবে। নিচে কিছু বিষয় বিবেচনা করা হলো যা গেমিং ল্যাপটপে ভালো হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ:
- প্রসেসর: গেমিং ল্যাপটপের জন্য শক্তিশালী এবং উচ্চ স্পীডের প্রসেসর প্রয়োজন। মাল্টিকোর প্রসেসর সেরা গেমিং পারফরম্যান্স করতে সাহায্য করে।
- গ্রাফিক্স: উচ্চ গ্রাফিক্স ক্যাপাবিলিটি সহজেই চলতে পারে সবগুলি গেম। গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য ভালো গেমিং ল্যাপটপে নিয়েছেন অত্যাধুনিক গ্রাফিক্স কার্ড।
- র্যাম: গেমিং ল্যাপটপের জন্য উচ্চ র্যাম ক্ষমতা প্রয়োজন। র্যামের সঠিক পরিমাণ গেম চালানো এবং স্মুদ পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে।
- স্টোরেজ: বিশাল স্টোরেজ ক্ষমতা গেমিং ল্যাপটপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাই-ক্যাপাসিটি এবং দ্রুত স্টোরেজ ল্যাপটপে ভারি গেমিং করা যাবে।
কয়েকটি সেরা গেমিং ল্যাপটপ এর নাম দেয়া হলো:
- Asus ROG Strix Scar 16
- MSI Titan GT77 12UHS
- Asus ROG Strix Scar 16
- Lenovo Legion Pro 7i
উপসংহার : আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ল্যাপটপ যা কম দামে ভালো ল্যাপটপ এর সকল সুবিধা দিতে পারে,গেমিং এর জন্য বা নরমাল ব্যাবহার, ফ্রিল্যান্সিং এবং ভারি এপ্লিকেশন সহজে রান করাতে পারবেন। এবং আপনি যদি একটি সেরা ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় বা বাছাই করার উপায় এবং কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুন: Facebook Page
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন : Facebook Group