ঘরে বসে আয় করুন ২০২৩ : অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায়

আপনি কি ঘরে বসে আয় করতে চাচ্ছেন? ২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় খুঁজতেছেন? কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়?, হয়তো প্রশ্নটির উত্তর দেয়াটা খুব সহজ না। কারন, বর্তমান যুগে সকল কাজ অনলাইনে হয়ে থাকে আর অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলোর ডিমান্ড ও অনেক। এতে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন, কিন্তু আয় করার কথা যতটা সহজ, বাস্তবতা ততটা সহজ না। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, সময় এবং তারপর ঘরে বসে আয় করুন ২০২৩ ও ২০২৪ সালে।

সমস্তকিছু পরিবর্তনের সুচনা সহ বর্তমান যুগে সকল ব্যক্তির জীবনে প্রয়োজনীয়তা পাচ্ছে অনলাইনে কাজ করার। আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সময়ের সাথে সাথে উন্নত করে চলছি, ধারণা করছি নতুন পরিবর্তনের সময়ের জন্য। বর্তমান বিশ্বে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন কারণ আপনার চাহিদা, সময় ও সুবিধা সবকিছু ঘরের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে। মুলত যারা বাহিরে কাজ করতে পছন্দ করেন না, ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চান এবং পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্ট।

অনলাইনে অংশগ্রহণ বা কোনো ধরনের কাজ করতে এখন কোন নির্দিষ্ঠ সীমা নেই, এর মাধ্যমে আপনাকে আরো বিশ্বস্ত ও প্রফেশনাল করে তুলতে পারে। তবে, অনলাইন টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় এবং সুবিধা রয়েছে। এতে আপনাকে চকরি খুজতে হবে না, আপনি যদি কোনো একটি অনলাইন বিষয় অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য একটি ভালো দিক হতে পারে।

আমরা জানি যে অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম বাজারস্থল হিসেবে বিখ্যাত ও উচ্চ মানের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করার সুযোগ অনলাইনে দিন দিন বেরে চলছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি বা কাজ করার সুবিধা তৈরি হচ্ছে। যেমন: ফ্রিলান্সিং, ফাইবার, ব্লগিং, কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি। এছাড়াও, আপনি নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আয় করতে পারেন এবং অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন অথবা কোন প্রোডাক্ট বিক্রি এবং সেবা দিয়ে আপনার স্বপ্নকে পূরণ করতে পারেন। ঘরে বসে শুধু বিশ্ব ব্যাপি না, বাংলাদেশেও আপনি ভালো পরিমান অর্থ উপার্যন করতে পারেন।

২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনলাইনে কাজ করার সুবিধার একটি ভূমিকা রাখছে আপনার সেবার বা পণ্যের প্রমোশন এবং বিক্রয়ের প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করে। এই চিন্তাভাবনা নিয়ে আমরা অর্টিকেল তৈরি করছি আপনাদের জন্য, যার মাধ্যমে আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই পোস্টে আপনি সহজেই সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পারবেন এবং একাধিক উপায়ে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সুবিধা পাবেন।

আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়, কোন উপায়ে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারেন এবং সঠিক পরিকল্পনা ও পরিচালনা করতে পারেন। আমরা আলোচনা করবো বিভিন্ন অনলাইন উপায় যেগুলো আপনার আয় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন ই-কমার্স ব্যবসা, এফিলিয়েট মার্কেটিং, নিজেস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি, ডিজিটাল সেবা প্রদান এবং অনলাইন শিক্ষা বা কোর্স ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিসহ আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

তাই আপনি যদি ধৈর্য ও সময় নিয়ে আজকের পোস্টটি সম্পুর্ন পড়েন, আশা করা যায় আপনি ঘরে বসে আয় করার উপায় বা টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় জানতে পারবেন, এবং কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক আজকের মুল টপিক:

 

আসলেই কি অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়?

আপনার এই প্রশ্নের উত্তর হলো, হ্যা। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন এবং অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। ঘরে বসে আয় করার নানা ধরনের উপায় রয়েছে। আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সফলতা অর্জন করতে হবে। তবে, আপনি যদি ভাবেন আজকে শুরু করবো এবং আজকে থেকেই ইনকাম হবে এই ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল।

কারন নানা প্রলোভন ও প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে অনলাইন জগতে। তাই সর্তকতার সাথে সব কিছু জেনে বুঝে অনলাইনে আয় করার উপায় গুলো বেছে নিতে হবে। কিছু কাজ আছে যেগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন আবার এমন কিছু কাজ আছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে আয় করতে পারেন। তাই আজকে আমরা ২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার ১০ টি উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

 

২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার ১০ টি উপায়

আপনি যদি ঘরে বসে আয় এবং অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে খুজেন তাহলে, নিচের উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনার জন্য সেরা চয়েস হতে পারে। কারন, বর্তমান বিশ্বের বাজরে উল্লেখিত বিষয়গুলো চাহিদা অনেক বেশি তাই খুব সহজে মোবাইল দিয়েও এই কাজগুলো করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার ১০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে:

 

#১ – বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন

অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার সেরা একটি উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা। যা অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে যে কোন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসে এবং আপনার সময় এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কাজ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে আপনি কাজ পাওয়ার জন্য প্রথমেই বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে নিবন্ধন করতে হবে, এবং সেখানে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আপনি কি ধরনের কাজ করতে পারেন সেগুলির স্কিল অনুযায়ী  তথ্য প্রদান করে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

২০২৩ ও ২০২৪ সালে আপনি অনলাইনে আয় করার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে যেমন Upwork, Freelancer.com, Fiverr ইত্যাদির মাধ্যমে। এই মার্কেটপ্লেসগুলি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ প্রদান করতে পারে, যেমন লেখার কাজ, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, আউটসোর্সিং, মার্কেটিং সেবা, প্রোগ্রামিং, সাইবার সিকিউরিটি এবং অন্যান্য আরো অনেক বিষয়ে। আপনি যে বিষয় দক্ষ সেই বিষয়টির উপর সময় বিনিয়োগ করে চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে।

আপনি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চাইলে কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে, যেমন প্রথমেই, আপনার দক্ষতা, প্রতিভা এবং আপনি কি ধরনের কাজ করতে পারেন তা নির্ধারণ করুন এবং ওই কাজে বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। বাংলাদেশ সহ বিশ্ব ব্যাপী এর ব্যাবপকতা রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং হলো অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অন্যতম জনপ্রিয় একটি উপায়। বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট আছে যা শিক্ষার্থীরাও অর্থ উপার্জনের জন্য গ্রহণ করতে পারে। যেমন: পার্ট-টাইম গিগ নেওয়া ইত্যাদি। আর যদি আপনি ফুল টাইম দিতে পারেন তাহলে বিভিন্ন কাজ আপনার জন্য রয়েছে তার মাধ্যে ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট, আ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, এসইও সহ আরো অনেক কাজ আছে যা আপনার জন্য ঘরে বসে আয় করার উপায় পাবেন। এছারাও বিভিন্ন কাজ আছে যা সহজেই মোবাইল দিয়ে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

 

#২ – গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করুন

মানুষের সবসময় আয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে আয়ের সম্ভাবনা ও সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির সৃষ্টিতে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি সেরা আয়ের উৎস হিসেবে উঠে এসেছে এবং এর মাধ্যমে সমস্ত ধরনের তথ্য, সেবা এবং পণ্য দুনিয়ার সামনে প্রদর্শন করা হয়। ইন্টারনেটের জগতে বিজ্ঞাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞাপন ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য বিজ্ঞাপনদাতারা নিয়মিত ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের পণ্য বা পরিষেবাকে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে লোকদের দেখাচ্ছেন এবং তাদের পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করার চেষ্টা করেন। এই ক্ষেত্রে গুগল অ্যাডসেন্স একটি মাধ্যম যা বিজ্ঞাপনদাতাদের আয় করতে সহায়তা করে।

গুগল অ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম। এটি ব্লগ, ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে বিজ্ঞাপনদাতাদের আয় করার সুযোগ সরবরাহ করে। গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে, যেমন টেক্সট বিজ্ঞাপন, ইমেজ বিজ্ঞাপন, ভিডিও বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। এই বিজ্ঞাপনগুলি গুগল আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এবং ব্যবহারকারীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রদর্শন করে থাকে। যদি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বেশি থাকে এবং বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য বা পরিষেবা থাকে, তবে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে ঘরে বসে আয় করতে পারেন বা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার জন্য আপনার প্রথমেই একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যদি আপনার কোনও গুগল অ্যাকাউন্ট না থাকে, তবে আপনাকে একটি তৈরি করতে হবে। গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে গুগলে লগইন করতে হবে এবং অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। তারপর আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল অ্যাডসেন্স এর সাথে কানেক্ট করুন। যদি গুগল আপনার সাইটকে তাদের প্রোগ্রাম পলিসি অনুযায়ী সঠিক মনে করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভালো পরিমান আয় করতে পারবেন। তাও ঘরে বসে। বাংলাদেশে বসে বাংলা কন্টেন্ট লিখেও ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। কারন গুগল অ্যাডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে, তবে অবশ্যই আপনার লেখাগুলো তথ্যবহুল হতে হবে।

 

#৩ – কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল লিখে আয় করুন

কন্টেন্ট রাইটিং হলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লেখা বা তথ্য সরবরাহ করার একটি জনপ্রিয় পেশা। এটি বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, ব্লগ, সামাজিক মাধ্যম এবং ইমেল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে ব্যবহৃত হয়। কন্টেন্ট রাইটাররা বিভিন্ন তথ্য ও বিষয়বস্তু সংগ্রহ করে একটি ইউনিক কীওয়ার্ডকে র্যাক করানোর জন্য আর্টিকেল তৈরি করে থাকে এবং তা আকর্ষণীয় ও মার্কেটিং মূল্যবান করতে চেষ্টা করেন। কন্টেন্ট রাইটারদের কাজ হল পাঠকদের আকর্ষণীয় কন্টেন্ট প্রদান করা এবং তাদের ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে মার্কেটিং সেবা প্রদান করা।

২০২৩ ও ২০২৪ সালে সারা বিশ্বে মানুষের আয়ের সুযোগ ও বিস্তার অনেক, কারন এখন বলতে গেলে সবাই ইন্টারনেট ব্যাবহার করে আর আপনি নিজেও কোনো না কোনো কাজের জন্য ইন্টারনেটর সাথে যুক্ত। তাই আপনার সময় ও দক্ষতা দ্বারা আপনি বিশ্বের কোন অংশে বসে থাকেন না কেনো, বাংলাদেশ থেকে আপনি আয় করতে পারেন, কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল এর মাধ্যমে। এটি একটি ঐক্যবদ্ধ পেশা যা আপনাকে আপনার লেখা দক্ষতা ব্যবহার করে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে দেয়।

কিন্তু এটি শুধুমাত্র টেকনিক্যাল দক্ষতার জন্যই নয়, আপনি যদি অতিরিক্ত আলোচনা, সংগঠন ও লেখার দক্ষতা সম্পন্ন থাকেন তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং আপনার জন্য আয়ের উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে। আপনি প্রায়শই সামগ্রিক জ্ঞান, তথ্য সংগ্রহ করার দক্ষতা, বিভিন্ন বিষয়ে লেখা করার সাধারণ দক্ষতা এবং আপনার লেখা দক্ষতা ব্যবহার করে এই পেশায় সফলতা অর্জন করতে পারেন।

আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারেন এমন অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞাপন লেখার জন্য কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েবসাইটে এসইও-ফ্রেন্ডলী ব্লগ পোস্ট ইত্যাদি সহ বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখে বিক্রি করে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। কারন এসইও-ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল একটি ওয়েবসাইট এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ভালো এসইও করতে পারেন, আপনি কন্টেন্ট বিক্রি করে বা আপনার নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আর্টিকেল লিখে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 

#৪ – ঘরে বসে গেমিং করে ইনকাম করুন

যুগের পরিবর্তন ও প্রযুক্তির বিকাশে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। বর্তমানে গেমিং একটি বিশেষ অংশ হয়ে উঠছে, যা আপনাকে অনলাইনে আয় করার সুযোগ দেয়। এই লেখায় আমরা জানবো কিভাবে আপনি ঘরে বসে গেমিং করে ইনকাম করতে পারেন।

গেমিং আপনাকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং আপনাকে নিজেকে আনন্দ করতে সুযোগ করে দেয়। সে কারণেই অনেকে গেমিং কে বিনোদন হিসেবে নিয়ে থাকে আবার কেউ প্রফেশনাল ভাবে ফুল সেটাপ নিয়ে একটি আয়ের উপায় হিসাবে মনে করছেন। ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি প্লাটফর্মগুলোতে ভিডিও গেম স্ট্রীমিং করে থাকে, এর মাধ্যমেও যথেষ্ট ভালো ইনকাম করে থাকে।

আপনি যদি ঘরে বসে গেমিং করে ইনকাম করতে চান, তবে আপনাকে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। যেমন: প্রথমেই অনলাইন গেমিং প্লাটফর্মগুলি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে হবে এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিযোগিতায় জয় করলে আপনি পুরস্কার বা পুরস্কার জিততে পারেন, যা আপনার ইনকাম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

দ্বিতীয়ত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গেমিং স্ট্রীমিং করে আয় করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠিত গেমারদের মতো আপনিও গেমিং লাইভ স্ট্রিম করতে পারেন এবং সেখানে ভিউয়ারদের আপনার সাথে জড়িত করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি অ্যাডসেন্স প্রোগ্রাম বা স্পনসরের মাধ্যমে ও আরো অনেক উপায়ে ঘরে বসে আয় করতে পারেন।

অথবা আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ গেমার হন এবং দক্ষতা রয়েছে, তবে আপনি গেমিং টিউটোরিয়াল তৈরি করতে পারেন। এই টিউটোরিয়ালগুলি অনলাইনে ভিডিও বা আর্টিকেল আকারে প্রকাশিত করতে পারেন এবং মানুষদেরকে গেম খেলার পদ্ধতি ও টিপস প্রদান করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

 

#৫ – ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সংযোগের বিকাশ মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন বয়ে আনছে। কারন, এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই মানুষ বিভিন্ন ধরনের আয় করতে পারে। তেমনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি প্রচলিত ও জনপ্রিয় উপায় যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি ব্যবসা মডেল যেখানে আপনি অন্যদের পণ্য বা কোনো সেবা প্রচার করে বিক্রয় বা প্রোমোট করে আয় করতে পারেন। আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট হতে পারেন এবং একটি বিশেষ লিঙ্ক বা প্রমোশনাল কোড ব্যবহার করে তা বিক্রি করা পণ্যের লিঙ্কে প্রেরণ করতে হবে। যখন কেউ আপনার প্রোমোশনাল লিঙ্ক বা কোড ব্যবহার করে পণ্য কিনবে বা সেবা গ্রহণ করবে, আপনি কমিশন পাবেন। এটি আপনাকে আয় করতে সাহায্য করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সহজ এবং সম্ভবত এটিই সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হতে পারে। এটি করতে আপনার বেশি সময় দিতে হবে না এবং আপনি আপনার পছন্দসই পণ্য সম্পর্কে প্রমাণিত রিভিউ করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট দরকার হবে। আপনি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা মার্কেটপ্লেসে নিজের জন্য একটি প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। যা মোবাইল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতেও পারবেন।

এছাড়াও আপনি আপনার ওয়েবসাইটে উপযুক্ত পণ্য বা সেবার তথ্য বা বিবরন অথবা পণ্যের রিভিউ এবং বিশেষ অফার সরবরাহ করে এটি নিয়ে ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লিখতে পারেন অথবা আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি ফলোয়ার থেকে থাকে শেখানে শেয়ার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আমরা প্রায় সময় ইউটিউব ভিডিও এর ডেস্ক্রিপশনে, বিভিন্ন ব্লগে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পন্যের লিংক দেয়া থাকে যা মুলত তাদের দ্বারা পরিচালিত না কিন্তু তাদের দেয়া নির্দিষ্ঠ লিংক থেকে যদি কোনো প্রডাক্ট বা সেবা নিয়ে থাকে তখন সেখান থেকে সহজেই ইনকাম হবে যা, পন্যের বা সেবার কত পার্সেন্ট কমিশন দিচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে আপনার টাকা ইনকাম হবে।

 

#৬ – ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং করে টাকা আয়

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন, প্রচার এবং বিক্রয় বা সেবা প্রদান করে আয় করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ঠ একটি লক্ষ রাখতে হবে আপনি কোন কাজে পারদর্শী এবং সে অনুযায়ী মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভালো ধারনা নিতে হবে। এটি আপনাকে সময়, শ্রম এবং পরিশ্রম বিনিয়োগ করতে হবে, তবে এটি আপনাকে ঘরে বসে এবং আপনার মুল্যবান সময়কে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম বা আয় করতে সাহায্য করবে।

আজকাল প্রায়ই আমরা বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্মে সময় কাটানোর জন্যে ইন্টারনেটের সাথে জড়িত থাকি। তাই এই ইন্টারনেটের দুনিয়ায় থেকে আপনার জন্য অনলাইনে আয় করার সুযোগ ডিজিটাল মার্কেটিং দ্বারা শুরু হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন, একটি ইন্টারনেট সংযোগ এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও সরঞ্জামসমূহের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আপনাকে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মের জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি সহজেই আপনার লক্ষ অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে পারবেন। শুরুর দিকে কখনোই ইনকামের দিকে ফোকাস করা যাবে না, কারন বিশ্ব ব্যাপি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ রয়েছে তাই এর চাহিদাও বর্তমানে অনেক। আপনাকে আগে পুরোপুরি নিজেকে তৈরি করে আয়ের দিকে ফোকাস দিতে হবে। আপনি কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন এবং তা থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তার একটি সম্পুর্ন আর্টিকেল দেয়া আছে। আপনি চাইলে এটি আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।

☞ এখানে পড়ুন : ২০২৩ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় এবং আয় করার উপায়

 

#৭ – গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয়

গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি ছবি, লোগো, বিজনেস কার্ড, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির জন্য আকর্ষণীয় ও সুন্দর ডিজাইন তৈরি করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সৃজনশীল পদ্ধতি যেখানে ইমেজ, কাঠামো, রঙ, টেক্সট, ইত্যাদির ব্যবহার করে একটি দৃশ্য তৈরি করা হয়। এই দৃশ্য মাধ্যমে আপনি আপনার মতামত ও কোনো প্রতিষ্ঠানকে সহজেই ব্যাখ্যা করতে পারেন এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্যাবহারকারীর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারেন এবং আপনার ক্রিয়েটিভিটি এবং কার্যক্রমকে ব্যবহার করে নিজেকে তৈরি করতে পারেন। অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করতে আপনার একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ফোন, একটি ইন্টারনেট সংযোগ এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যাবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সৃজনশীল কাজ যা আপনাকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করতে হয়। এখন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবসা শুরু করে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন। এটি একটি ফ্রিলান্সিং পেশা, এখানে আপনি ব্যাপক চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করতে পারেন। যেমন, যখনি কোনো ওয়েবসাইট বা কোনো প্রতিষ্ঠানের লোগো দরকার হবে তখনই ওই প্রতিষ্ঠান একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর কাছে যাবে তার ডিমান্ড অনুযায়ী বিভিন্ন উপায়ে সঠিক একটি লোগো তৈরি করে দিবে। যার মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করার সুবিধা দেয়।

 

#৮ – ঘরে বসে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করুন

ব্লগিং এমন মাধ্যম যেখানে আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজে নিজের মতামত, লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ করতে পারেন। একজন ব্লগার হিসাবে, আপনি আপনার ব্লগে আপনার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সংগ্রহ করে এবং তা সারাবিশ্বের সাথে ভাগ করে দিতে পারেন। ব্লগিং আপনাকে ব্যাবহারকারীর সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং আপনার মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দেয়।

ব্লগিং একটি জনপ্রিয় ও সাধারণত ঘরে বসে করা যায় এমন একটি অনলাইন কাজ। ঘরে বসে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার প্রথমে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে। এরপর আপনার ব্লগে মনের মতামত এবং বিচারধারা সংগ্রহ করার জন্য লেখা, ছবি, ভিডিও, প্রশ্ন-উত্তর ইত্যাদি প্রকাশ করতে হবে। ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) ব্যবহার করুন, যেমন WordPress, Blogger ইত্যাদি।

তারপর আপনি কোনো নির্দিষ্ঠ বিষয় নির্ধারণ করুন যা আপনি আপনি অভিজ্ঞ এবং সে সম্পর্কে আপনি সারা বিশ্বের মানুষ কে সাহায্য করতে পারেন, সেটা হোক কোনো ব্লগ পোস্ট, ভিডিও ইত্যাদি। আপনার ব্লগের নির্দিষ্ঠ লক্ষ্য এবং পাঠকদের চাহিদা বোধ করে সাইটের নিশ বাছাই করতে হবে। যেমন: নিউজ, প্রযুক্তি, খেলা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, ফ্যাশন, যাত্রা, নির্মাণ, ভ্রমণ ইত্যাদি। আপনি যেকোনো একটি বিষয়কে টার্গেট করে আপনার ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন, তবে আপনি চাইলে মাল্টি নিশ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

আপনি যখনি একটি মানসম্মত পোস্ট বা ভিডিও শেয়ার করবেন, তখন এটি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে। তারপর আপনার কন্টেন্ট অনুযায়ী ভিজিটরস আসবে। যখন আপনি পর্যাপ্ত কন্টেন্ট এবং ভিজিটর পাবেন তখন আপনি যেকোনো অ্যাডস নেটওয়ার্ক আপনার ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করে সহজেই ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন: গুগোল অ্যাডসেন্স। এছারাও বিভিন্ন স্পন্সর এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

 

#৯ – ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি উচ্চ চাহিদামূলক দক্ষতা যা আপনাকে ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দিতে পারে এবং ঘরে বসে আয় করতে সাহায্য করতে পারে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে হবে, এটি প্রথমে সহজ উপায় হবে না কারন এর চাহিদা সারা বিশ্ব ব্যাপি। এতে আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং সময় বিনিয়োগ করতে হবে, কারন একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে বিভিন্ন কোডিং জানতে হবে যেমন, HTML, CSS, Javascript, Python, Php, Bootstrap ইত্যাদি।

প্রথমর এগুলো শিখতে হলে অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ভর্তি হতে হবে এবং বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে ধরনা রাখতে হবে, আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপিং সেক্টরে একমই নতুন হয়ে থাকেন তাহলে প্রথমে প্রাথমিক ধরনার জন্য ইউটিউব ভিডিও, ফ্রি ওয়েব ডেভলপমেন্ট কোর্স করা শুরু করতে পারেন, এতে আপনার দক্ষতা বাড়বে। যখন আপনি বুঝতে শুরু করবেন তখন কোনো অনলাইন কোর্স বা প্রতিষ্টানের কাছে শরণাপন্ন হতে হবে।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর সুবিধা অনেক তেমনি এর কাজও বেশি এবং এখান থেকে আয়ের পরিমাণও বেশি। ফ্রিলান্সিং পেশায় ওয়েব ডেভলপমেন্ট বা ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ ব্যাপক রয়েছে। আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের জন্য কাস্টমাইজড ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি সেবা প্রদান করতে পারেন।

অথবা আপনি কোনো ওয়েবসাইট বাগ সংশোধন সেবা প্রদান করে আয় করার। আপনি আরও অনেক উপায়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয় করতে পারেন, বিভিন্ন প্রকার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টর রয়েছে যেখানে আপনি সারা বিশ্বের মানুষের কাজ ঘরে বসে করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে চাকরির জন্য যেতে হবে না, আপনি চাইলে কোনো প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কাজ করতে পারেন। কিন্তু ঘরে বসে আয় করার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যুক্ত হতে হবে, যেমন Freelancer.com, Fiverr.com, Upwork.com ইত্যাদি।

এসব সাইটে নিবন্ধন করে নিজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে আপনি কোন বিষয় দক্ষ তা বিস্তারিত জানাতে পারেন, তারপর আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের সুযোগ ও উপায় পাবেন, যেখানে আপনি লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে এই সেক্টরে শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বের মানুষের সাথে সেবা প্রদান করার উপায় হবে, যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ২০২৩ সালে এর ব্যাপকতা অনেক বেশি এবং ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। তাই এতে বিফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললে চলে।

 

#১০ – ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে টাকা আয়

২০২৩ সালে প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত থাকা একটি অপূর্ব মাধ্যম হলো ইউটিউব। এটি অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে এর ব্যাপক ব্যাবহারকারী আছে। এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কিছু কর্মীরা নিজেদের তৈরি করা ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে টাকা আয়ের উৎস হিসেবে সহজ উপায় খুঁজে পেতে পারে।

ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। আপনি চাইলে নিজের নামে চ্যানেল খুলতে পারেন বা একটি ব্র্যান্ড নাম নিয়ে চ্যানেল খুলতে পারেন। চ্যানেল খুলার পরে আপনি আপনার পছন্দমত কিছু নীচের দেয়া টিপস অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করতে পারেন:

টিউটোরিয়াল ভিডিও: যদি আপনার কোনও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষতা থাকে যা আরও বিশ্বের মানুষের সাথে ভাগ করতে পারেন বা বাংলাদেশ টার্গেট করে বাংলা টিউটোরিয়াল তৈরি করতে পারেন। এই ভিডিওগুলি মানুষের সমস্যা সমাধান করার জন্য দেখবে। টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করলে প্রায়শই অনুসরণকারীদের সংখ্যা বেড়ে চলছে এবং আপনি টিউটোরিয়াল ভিডিও করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ব্যক্তিগত ভিডিও ব্লগ: আপনি নিজের জীবনের ঘটনাগুলি বা ভ্রমন সম্পর্কিত ভিডিও ব্লগে আপলোড করে আয় করতে পারবেন। এটি আপনার নিজের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাগুলি থেকে সংগৃহীত হতে পারে বা আপনি যে কোনও বিষয়ে একটি স্পেশাল আলোচনা করতে পারেন। এই ভিডিওগুলি সাধারণত উপস্থাপন করতে হয় এবং লোকেরা আপনার মতামত এবং অভিজ্ঞতা জানতে পারে।

এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও: আপনি এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও তৈরি করতে পারেন যেমন কমেডি, মিউজিক ভিডিও বা কোনো মজার ঘটনা ইত্যাদি। এই ধরনের ভিডিওগুলি জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে এবং আপনার সৃজনশীলতা ও উপস্থাপনের মাধ্যমে টার্গেট অডিয়েন্স খুজতে হবে। এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও তৈরি করলে আপনি আপনার দর্শকদের ভিউস থেকে উপার্জন করতে পারেন যেমন ইউটিউব ভিডিও দেখতে থাকার জন্য আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করা, বিজ্ঞাপন দেখা ইত্যাদি।

আরো বিভিন্ন উপায়ে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা যায়, যেমন এফিলিয়েট, স্পনসর ইত্যাদি। আপনি যে বিষয় ভিডিও তৈরি করেন না কেনো, সেটা যেনো নির্দিষ্ঠ কোনো বিষয় ভিত্তিক হয়ে থাকে এবং ইউটিউব টার্মস অনুয়ায়ী ভিডিও আপলোড করতে হবে।

 

শেষ কথা : ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা আয় করা হয়ে উঠছে একটি সহজ উপায়। ইন্টারনেটের জগতে একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে যা আপনাকে আপনার দক্ষতা, প্রতিভা এবং আগ্রহ উপস্থাপন করে আয় করতে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই জানি না, কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়? কিভাবে ঘরে বসে ইনকাম করা যায়? ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ইনকাম করার উপায় কি? অনেকের কাছে এই প্রশ্নটি কমন ব্যাপার। কিন্তু আজকের পোস্টে এর বিশদ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে আপনি সহজ উপায় টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

উল্লেখিত বিষয়গুলো ছারাও বিভিন্ন কাজ আছে, যা আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন যেমন, পিটিসি সাইট, অনুবাদ, এসইও ইত্যাদি। সময় নষ্ট না করে এখনি আপনার সপ্ন পুরন করুন ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার মাধ্যমে। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

 

আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন :

ফেসবুক পেজ : https://facebook.com/rvwbd/

ফেসবুক গ্রুপ : Join Now