( GIS) জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা ও উপাদান আলোচনা কর

জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার

( GIS) জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা ও উপাদান আলোচনা কর

জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (Geographic Information System) – GIS হলো এমন এক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে বিভিন্ন উপাত্ত ব্যবহার করে বিশাল তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা সম্ভব। ভূগোলে এর ব্যাবহার অনেক। তাই আজকে জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার, ( GIS) জিআইএস এর উপাদান সমূহ, ( GIS) জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব ও সুবিধা গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ভূগোলের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে জিআইএস। আর জিআইএস প্রযুক্তি এমন এক প্রযুক্তি যার সাহায্যে বিভিন্ন উপাত্ত ব্যবহার করে বিশাল তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা সম্ভব। যা দিয়ে যেকোনো দেশের সার্বিক উন্নতি বিবেচনা করা যায়। স্থানিক তথ্য তথা পৃথিবীর পৃষ্ঠের অবস্থান নির্ণয়ের GIS সহায়তা প্রদান করে থাকে।

 

GIS বা জিআইএস বলতে কি বুঝায়?

GIS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Geographic Information System। যার বাংলা অর্থ হচ্ছে ভৌগলিক তথ্য পদ্ধতি। সাধারণ অর্থে GIS হলো স্থানিক ও অস্থানিক উপাত্ত সংগ্রহ করে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে সমন্বয় ঘটিয়ে তা মানচিত্রে উপস্থাপন করা। অর্থাৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী কম্পিউটার সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি বার হাতিয়ারের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের যে কোন স্থানের ভৌগোলিক উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, সমন্বয়, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করার প্রক্রিয়া হল জিআইএস।

Wikipedia এর তথ্য অনুযায়ী : জিআইএস হচ্ছে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও উপাত্তের ধারণ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি।

এখানে, GIS এর Geographic শব্দটি দ্বারা ভৌগলিক বা স্থানিক বিষয় উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। আর Information বলতে তথ্য ভান্ডার কে বোঝানো হয়েছে এবং System বলতে বুঝায় যার জিআইএস এর কর্তৃক সিস্টেম বা পদ্ধতি অনুসরণ করে।

ভৌগলিক বিশ্লেষণ শক্তিশালী উপকরণ হলো GIS, জি আই এস এর সাথে সংযুক্ত হয়ে ভূগোল আমাদেরকে আরো ভালোভাবে জানতে এবং মানবজাতির কাজে ভৌগলিক জ্ঞান প্রয়োগে সহায়তা করছে। জিআইএস প্রযুক্তির বহুবিট ব্যবহার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

( GIS) জিআইএস এর উপাদান সমূহ আলোচনা কর

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ভূগোলের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ( জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ) – GIS প্রযুক্তি। আর জিআইএস প্রযুক্তি এমন এক প্রযুক্তি যার সাহায্যে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে বিশাল তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা সম্ভব। যা দিয়ে যেকোনো দেশের সার্বিক উন্নতি বিবেচনা করা যায়। স্থানিক তথ্য তথা পৃথিবীর পৃষ্ঠের অবস্থান নির্ণয়ের জিএস এর সহায়তা প্রদান করে থাকে। জিআইএস এর কয়েকটি উপাদান রয়েছে। মূলত জি আই এস এর মূল উপাদান হলো ৫টি।

  1. হার্ডওয়্যার – ( Hardware )
  2. সফটওয়্যার – ( Software )
  3. ডাটা – ( Data )
  4. পদ্ধতি – ( Method )
  5. লাইভওয়্যার ( Liveware / People )

 

নিচের জিআইএস প্রযুক্তির উপদান গুলো আলোচনা করা হলো:

হার্ডওয়্যার – ( Hardware ) : কম্পিউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো হার্ডওয়্যার। জে এস এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রথম ও প্রধান উপাদান হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার উপাদানগুলো খালি হাতে স্পর্শ করা যায় এবং খোলা রেখে দেখা যায়। কিছু কিছু উপাদান সরাসরি সব সময় দেখাও ছোঁয়া যায়। যেমন – মনিটর, কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো একটি সিপিইউ বক্সের মধ্যে থাকে। যেগুলো শুধুমাত্র সি পি ইউ বক্স খুললেই দেখাও শোয়া যায়। যেমন – র‍্যাম, হার্ডডিক্স, প্রসেসর ইত্যাদি। এই উপাদানগুলোর কাজকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় যথা : ইনপুট, আউটপুট এবং স্টোরেজ। জিআইএসএ হার্ডওয়্যার এর মধ্যে রয়েছে মাদারবোর্ড, প্রসেসর, ক্যাম, হার্ডডিস্ক, মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদি। এসব যন্ত্রংশ কে বলা হয় কম্পিউটার হার্ডওয়্যার। GIS এর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার।

সফটওয়্যার – ( Software ) : সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা হার্ডওয়্যারকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। হার্ডওয়ার একটি যন্ত্র বা সফটওয়্যার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সফটওয়্যারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা : সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। জিআইএস সফটওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। কিন্তু জনপ্রিয় GIS সফটওয়্যার হচ্ছে – Ar elinfo, Are View, Are Map, Map Source, Geo derver, Q GIS, GRASS ইত্যাদি জিআইএস এর সফটওয়্যার, সংরক্ষণ, পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের সকল কাজ করে থাকে। জিআইএস সফটওয়্যার ব্যতীত GIS প্রযুক্তির কাজ করা সম্ভব নয়।

ডাটা – ( Data ) : জিআইএস এর তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ডাটা। ডাটা ব্যতীত জিআইএস কিছুই করতে পারেনা। GIS এর মাধ্যমে মানচিত্র তৈরিতে স্থাননিক ডাটা প্রয়োজন হয়। যে প্রক্রিয়ায় এই ডাটাবেজ তৈরি করার সবচেয়ে বেশি সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। ভৌগলিক ডাটা ঘরে বসে সংগ্রহ করা যায়। অনেক সময় বাণিজ্যিকভাবে ডাটা ক্রয় করা যায়। জেএস এর স্থানের ডাটা একটি DBMS এ এর মাধ্যমে অন্য ডাটার সাথে সংযুক্ত হতে পারে। ভৌগলিক উপর তথ্য ও তথ্যের সরবরাহ এবং বিতরণ সহজীকরণের লক্ষ্যে পৃথিবীর বৃহত্তান্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারের ডাটা সংরক্ষণ করা হয়।

পদ্ধতি – ( Method ) : GIS পদ্ধতি বলতে বোঝায় কিভাবে ডাটা ইনপুট, সংরক্ষণ, পরিচালনা, বিশ্লেষণ, পরিবর্তন এবং সংযোজন ও সর্বশেষ মানচিত্র উপস্থাপন করা যায় সে সম্পর্কিত কার্যপ্রণালী। এই পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। সুতরাং পদ্ধতি ও জিআইএস এর একটি বিশেষ উপাদান হিসেবে আখ্যায়িত।

লাইভওয়্যার ( Liveware / People ) : জিআইএস এর সর্বশেষ ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে লাইভওয়্যার। আর লাইভওয়্যার বলতে মানুষ বা বিশ্ব বা বিশেষজ্ঞ বা দক্ষ জনশক্তিকে বোঝায় যারা জিআইএস এর কাজ নিয়ে যেতে থাকে। GIS সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, এবং ডাটা কে নির্দিষ্ট কতগুলো পদ্ধতির মাধ্যমে যথাযথ পরিচালনা করার জন্য দক্ষ লাইভওয়্যার প্রয়োজন। উপাত্ত সংগ্রহ থেকে শুরু করে কম্পিউটারের উপাত্ত সংযোজন এবং তার সংশোধন মাধ্যমে ফিচার মানচিত্র তৈরি ও তাতে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন সহ GIS প্রযুক্তির যাবতীয় কাজ মানুষের হাতের ছোঁয়া ছাড়া সম্ভব নয়। তাই লাইভওয়্যার হলো ( GIS) জিআইএস এর উপাদান সমূহ এরমধ্যে অন্যতম একটি উপাদান।

পরিশেষে বলা যায়, ( GIS) জিআইএস এর উপাদান সমূহ বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে ঠিক তেমনি এই উপাদান একে অপরের সাথে ঘনিষ্ট ভাবে সম্পর্কিত এবং সকল উপাদান একত্রে সম্মিলিতভাবে জিআইএস এর প্রধান উদ্দেশ্য সম্পাদনা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

☞ আরো পড়ুন : ক্ষয়চক্র কি? ডেভিসের ক্ষয়চক্র মতবাদ ও সমালোচনা বা পর্যালোচনা কর

 

( GIS) জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব বর্ণনা কর

নিচে জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার এবং GIS প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা জিআইএস প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং সুবিধা আলোচনা করা হলো :

কৃষি উন্নয়ন ও ভূমি ব্যবস্থাপনায় জিআইএস এর গুরুত্ব

কৃষি উন্নয়ন ও ভূমি ব্যবস্থাপনার জে এস এর ব্যবহার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা এনে দিয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োগ একটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে দ্রুত প্রসার লাভ করাতে পারে। ভূমির প্রকৃতি, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, জলবায়ু, মৃত্তিকার গুনাগুন প্রভৃতির জটিল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জিএএস প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে তাছাড়া ভূমির নকশা, ভূমির জরিপ, ভূমি রেকর্ড, খাজনা আদায়, খতিয়ান প্রবৃত্তি তৈরীর ক্ষেত্রেও জিআইএস প্রযুক্তির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।

বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় জিআইএস এর ব্যবহার সুবিধা

যে কোন দেশের মোট আয়তনের 25% ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বনভূমি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা তথা যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বনভূমির অবস্থান যেখানে যাত্রা ও তা খুবই কষ্টসাধ্য। যেমন পাহাড়ি বনভূমি, নিরক্ষীয় বনভূমি, ম্যানগ্রোভ বনভূমি ইত্যাদি। এসব বনভূমিতে যদি আগুন লাগে বা অন্য কোন কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয় তবে বনভূমি রক্ষার জন্য ক্ষতি নিরূপণ করতে জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

ভূতত্ত্ববিদ্যা ও খনিজ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় GIS এর গুরুত্ব

যে দেশ খনিজ সম্পদ যত উন্নত সে দেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে তত উন্নত। খনিজ সম্পদের অবস্থান, পরিমাণ ইত্যাদি জানার জন্য একটি ডাটাবেজ তৈরি করে মানচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলো সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পাওয়া সম্ভব। ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র তৈরি, ভূমিধস এলাকার নকশা তৈরি, ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রের GIS প্রযুক্তির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।

নগর পরিকল্পনায় GIS এর ব্যবহার সুবিধা

নগরের রাস্তা, পয়ঃনিষ্কাশন লাইন, পানি সরবরাহ লাইন, বিদ্যুৎ লাইন প্রভৃতি সেবা সমূহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। এসব পরিকল্পনা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া নগরের নকশা তৈরি ও জমির প্রোটনি নির্ধারণ ও খেলার মাঠ নির্মাণ, বাজার নির্মাণ, ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারণ ও নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন ও পরিচয় পত্র প্রদান প্রবৃদ্ধি তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ডাটাবেজ তৈরি করতে জিআইএস প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সুতরাং আধুনিক নগরায়নের GIS প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই এর গুরুত্ব অপরিসীম।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় GIS প্রযুক্তি ব্যবহার সুবিধা

দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ, বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ ও মানচিত্র প্রস্তুতকরণ, দুর্যোগ মোকাবেলায় জিআইএস প্রযুক্তির বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন – বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প ও সাইক্লোন দ্বারা প্রতিবছর ব্যাপক জানমাল এর ক্ষতি হয়ে থাকেন। GIS প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষয়ক্ষতি পরিমান হ্রাস ও দুর্যোগ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখা যায়।

গবেষণার কাজে জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কাজে GIS প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, নগর পরিকল্পনা, জনসংখ্যা পরিকল্পনা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট প্রায় সকল ক্ষেত্রে জিআইএস বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

পরিবেশ রক্ষায় জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার এর সুবিধা

বর্তমান বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি বিষয়ে হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশ নিয়ে সারা বিশ্বের লোক বেশ চিন্তিত। পরিবেশ রক্ষার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে চলছে। জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তা মানচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করে বিশ্লেষণ করতে পারলে পরিবেশ রক্ষার কাজে আসবে। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশ রক্ষায় জিআইএস এর সুবিধা রয়েছে।

পল্লী উন্নয়নে GIS এর গুরুত্ব

একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের তথা জনগণের অধিকাংশ চাহিদা পূরণের পল্লী এলাকা যথেষ্ট ভূমিকা রেখে থাকেন যেমন – বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল, প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পল্লী এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। এসব কৃষিজাত দ্রব্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ওপ্রয়-বিক্রয়ের জন্য পল্লী এলাকায় হাট বাজারের অবকাঠামগত উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রয়োজন হয়। এগুলো পরিকল্পিতভাবে সমাধানের জন্য জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানচিত্র অঙ্কন করা প্রয়োজন। তাছাড়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পল্লী এলাকার চিত্র জিআইএস প্রযুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করে তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে দূরত্ব পল্লী এলাকা উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

মোটকথা, ভৌগোলিক বিশ্লেষণের শক্তিশালী উপকরণ হলো GIS প্রযুক্তি এর ব্যাবহার। এর সাথে সংযুক্ত হয় ভূগোল আমাদেরকে আরো ভালোভাবে জানতে এবং মানবজাতির কাজে ভৌগলিক জ্ঞান প্রয়োগে সহায়তা করছে। জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

শেষ কথা : আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি জিআইএস কি বা জিআইএস বলতে কি বুঝ, ( GIS) জিআইএস এর উপাদান সমূহ, ( GIS) জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব ও সুবিধা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত এই পোষ্টে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করে জিআইএস সম্পর্কে এই পোস্টটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ জানতে পারবেন।

 

এসএসসি, এসএসসি, ডিগ্রী, অনার্স সাজেশন পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা নিত্যনতুন পরীক্ষা অনুযায়ী প্রতিবছর ১০০% কমনো উপযোগী সাজেশন দিয়ে থাকে। ২০২৪ সালে যারা পরীক্ষার্থী আছেন। তাদের জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের সাজেশন প্রদান করা হবে।

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন :
https://facebook.com/rvwbd/

 

1 Comment

  1. Pingback: নিয়ত বায়ু প্রবাহের শ্রেণীবিভাগ করো এবং বৈশিষ্ট্য সহ বর্ণনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *