ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়, শুরু থেকে আয় করার উপায় ২০২৩
আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়, Digital Marketing কিভাবে শুরু করব? এর থেকে ইনকাম বা আয় করার উপায় এবং এর গুরুত্ব ও সুবিধা কেমন। ভবিষ্যৎ বা ক্যারিয়ার হিসেবে কেমন হবে। তা বিস্তারিত জানবো।
২০২৩ সালে ও ২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো জানা খুবই জরুরী আপনি যদি একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টরগুলোতে আপনাকে অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। কারন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। সবাই চায় তার ভবিষ্যৎ বা ক্যারিয়ার উজ্জ্বল হোক। তাই এখানে কম্পিটিশন অনেক বেশি তেমনি এর কাজ ও অনেক।
Digital Marketing – ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান সুবিধা হল একটি লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ ওবং কাজের ধরন ও কাজ খুজতে সাহায্য করে।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ অনেক। আপনি ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন বা আয় করতে পারবেন। নিচে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়, ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব এবং শুরু থেকে আয় করার উপায় বা ইনকাম করার উপায় বিস্তারিত A to Z আলোচনা করা হয়েছে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে আগে জানতে হবে, ডিজিটাল মার্কেটিং কি? নিচে আলোচনা করা হলো।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো একটি প্রযুক্তিগত উপায় যা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার প্রচার ও প্রচারণা করতে ব্যবহৃত হয়। এটি কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিভিন্ন ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), পেইড অ্যাডভার্টাইজিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, ব্লগিং, ইমেজ মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং ইত্যাদি প্রযুক্তিগত উপায়ে কাস্টমারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে থাকে। যা সম্পুর্ন অনলাইন ভিত্তিক। ফ্রিলান্সিং সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অংশ মাত্র।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসা পণ্য বা সেবার প্রচার, বিক্রয় ও লাভ বৃদ্ধি করা যায় খুব সহজেই। এটি আরও ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং ব্যবসার সাথে সম্পর্ক ও বিশ্বাস গঠন করে এবং ক্রেতা ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্ক ও বিশ্বাস গঠন করে যাতে একটি সঠিক বিক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় এবং ডিজিটাল মার্কেটাররা এখান থেকে অধিক পরিমাণে ইনকাম করতে পারে।
এখন ঘরে বসে অনলাইনে কেনা কাটাসহ শুরু করে, অনলাইনে ইনকাম বা আয় করা সবটাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং বা ফ্রিলান্সিং এর ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর গাইডলাইন জেনে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে, কারন ডিজিটাল মার্কেটিং এর গাইডলাইন না হলে আপনি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবেন না। এতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই এর সঠিক গাইডলাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
২০২৩ সালে যদি আপনি একজন দক্ষ কারো থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গাইডলাইন নিয়ে কাজ শুরু করেন তাহলে এর এর মাধ্যমে ২০২৪ সালে এই সেক্টরে ব্যবসা সংক্রান্ত যেসব তথ্য, প্রচার ও প্রচারণা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করা হয় তা সহজ হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসা পণ্য বা সেবা নিয়ে কাস্টমারদের সাথে সংযোগ করতে পারে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উপায়ে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং ব্যবসার সাথে সম্পর্ক ও বিশ্বাস গঠন করে। এটি পণ্যের প্রচার, বিক্রয় এবং লাভের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করে। যার মাধ্যমে সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং আয় করা বা ইনকাম করা যায়।
যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি পণ্যের কোন কোম্পানি প্রচার করতে পারে ও তার প্রচারণার জন্য টার্গেট কাস্টমারগুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এর মাধ্যমে ব্র্যান্ড ইমেজ গঠন ও বিশ্বাস তৈরি হয়, যার মাধ্যমে ইনকাম করার সহজ উপায় ও হয়ে থাকে এবং তার কাজের বিনিময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?
ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু প্রধান ডিজিটাল মার্কেটিং প্রকার আলোচনা করা হলো:
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) বা এসইও মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) বা এসইও মার্কেটিং হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি বা সেবা। এটি ওয়েবসাইটগুলির সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এসইও (SEO) এর এমন কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (Google, Bing, Yahoo) এর প্রথম পৃষ্ঠায় কোন কিওয়ার্ড এর জন্য একটি ওয়েবপেজকে র্যাঙ্ক করানো হয় এবং এতে তাদের টর্গেট অনুযায়ী ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসে যার মাধ্যমে সহজেই আয় করা সম্ভব।
এতে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি এবং ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি, যা একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে টার্গেটিং অনুযায়ী কীওয়ার্ড অনুযায়ী র্যাঙ্ক করাতে পারে এবং এর মাধ্যমে উভয়ের ইনকাম বা আয় হয়ে থাকে। যেমন: ওয়েবসাইট তার নির্দিষ্ঠ ট্রাফিক পায় আবার ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মার্কেটারগণ আয় করে থাকে।
২০২৩ সালে এবং ২০২৪ এসইও মার্কেটিং করতে হলে ডিজিটাল মার্কেটারগণ নিম্নলিখিত কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়ে থাকে:
কীওয়ার্ড রিসার্চ: প্রথমেই, আপনার টার্গেট করা কীওয়ার্ডগুলি সন্ধান করে এবং কীওয়ার্ড রিসার্চের কিছু টুলস ব্যাবহারের মাধ্যমে জানতে পারে কীভাবে আপনার লক্ষ্যমূলক কীওয়ার্ডগুলি প্রচার করতে হবে এবং টার্গেটেড ট্রাফিক আকর্ষণ করতে হবে। তাই SEO মার্কেটিং এর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন: আপনার ওয়েবসাইটের স্ট্র্যাকচার, কন্টেন্ট, লিংক সংযোগ, পেজ লোডিং সময়, মেটাডাটা ইত্যাদি অপটিমাইজ করতে SEO মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। এটি করতে হলে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার প্রয়োজন হয়, কারন কোনো ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠানিক এবং ব্যবহারকারীদের জন্য সহজবোধ্য এবং সার্চ র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম পেজে আসে। তার মধ্যমে ইনকাম হয়ে থাকে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং: ভালোমানের এবং প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যা আপনার লক্ষ্যমূলক কীওয়ার্ডগুলির উপর ভিত্তি করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনার কন্টেন্টটি গুগল সার্চে র্যাঙ্ক করে দেওয়ার চেষ্টা করে যাতে এটি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করতে সহায়তা করে।
লিংক বিল্ডিং: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলিতে লিংক তৈরি করুন। লিংক বিল্ডিং আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বস্ততা এবং ভিজিটরদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে, যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে টার্গেটিং ভিজিটর আসবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) একটি নির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজি এবং প্রক্রিয়া যা করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র্যাঙ্ক করতে পারেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটকে দৃশ্যমান করে এবং টার্গেটেড ট্রাফিক আকর্ষণ করে। এসইও মার্কেটিং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পজিশন এবং দীর্ঘদিনের জন্য ক্রেতাদের আকর্ষন করতে পারবেন এবং এসইও এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন।
পে-পার ক্লিক (PPC)
পে-পার ক্লিক (PPC) মার্কেটিং হলো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি, যা প্রযুক্তিগত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শিত হওয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্গানিক ট্রাফিক পায়।
PPC মার্কেটিং এর মূল বিষয় হলো প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন ক্লিকের উপর ভিত্তি করে ট্রাফিক নিয়ে থাকে। বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপনদাতার কাছ থেকে প্রদর্শিত হওয়া বিজ্ঞাপনের জন্য বিজ্ঞাপনদাতা টাকা প্রদান করতে হয়। যখন একজন ব্যবহারকারী কোনো একটি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, তখন বিজ্ঞাপনদাতা একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পরিশোধ করে থাকে।
PPC মার্কেটিং বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কার্যকর হয়, যেমন গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস, টুইটার অ্যাডস, লিঙ্কডইন অ্যাডস ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মগুলি বিভিন্ন লক্ষ্যমূলক বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করে এবং যে বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শিত হবে তা নির্দিষ্ট করার জন্য বিজ্ঞাপনদাতাকে আয় করার সুযোগ প্রদান করে থাকে।
পে-পার ক্লিক (PPC) একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি, এর প্রধান কারণ হচ্ছে- এটিকে পে করতে হয় শুধুমাত্র যখন অনলাইন ইউজাররা PPC অ্যাডে ক্লিক করে তখন। আর বেশিরভাগ ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি শুধু অ্যাড শো করার মাধ্যমে ইনকাম বা আয় করে থাকে। এতে করে কখনো ক্যাম্পেইন সফল, আবার কখনো বিফল হয়। কিন্তু এটি পেইড সার্চের মাধ্যমে মার্কেটারগণ ক্যাম্পেইন দিয়ে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
(Social Media Marketing) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে প্রচার এবং ব্র্যান্ডিং করে থাকে। এটি সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলি (যেমন: ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং, লিঙ্কডইন ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম) ব্যবহার করে প্রায় সব ধরনের লোকাল, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রডাক্ট, ব্যবসা, সার্ভিস পাবলিসিটি করে পরিচলনা করে থাকে। ২০২৪ সালে বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়া অনলাইন মার্কেটিং হিসবে জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে টার্গেটেড অডিয়েন্সদের বিভিন্ন কৌশলে পাবলিসিটি করে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করে থাকে। ২০২৪ সালে এর চাহিদা অনেক বেশি কারন বর্তমানে বিভিন্ন প্লাটফর্মে বহু মানুষ এই কাজে নিযুক্ত আছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কাজ করার জন্য মার্কেটারগণ নিম্নলিখিত কয়েকটি পদক্ষেপ অবলম্বন করে থাকে:
লক্ষ্য নির্ধারণ: প্রথমেই, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারগণ তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। এটি অবশ্যই স্পষ্ট এবং মাপযোগ্য হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, লক্ষ্য হতে পারে কোনো প্রডাক্ট পাবলিসিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করা, পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করা বা সাম্প্রতিক ক্যাম্পেইনের জন্য সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করা ইত্যাদি।
লোকাল টার্গেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি উপযুক্ত লোকাল টার্গেটিং বিকল্প হিসেবে ধরা যায়। ডিজিটাল মার্কেটাররা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিজেদের লক্ষ্য পাবলিসিটি করার জন্য টার্গেটেড অডিয়েন্সদের বৈশিষ্ট্য, লিঙ্গ, বয়স, অঞ্চল ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। এতে ব্রান্ডগুলো পাবলিসিটি বাড়ে এবং মার্কেটারগণ ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে পারে।
ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing) হলো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি যা ই-মেইল এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক মার্কেটিং প্রচার করে। এটি ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির পক্ষে উপভোগকারীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ই-মেইল ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার মার্কেটিং বার্তা, প্রচার এবং প্রমোশনাল অফার প্রেরণ করে।
ই-মেইল মার্কেটিং সাধারণত নিম্নলিখিত কাজগুলি সম্পন্ন করে:
ই-মেইল সংগ্রহ: ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট, ব্লগ বা অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পদ্ধতিবিধি মেধে ই-মেইল সংগ্রহ করা হয়।
ই-মেইল সংক্রান্ত ডাটাবেস তৈরি: সংগৃহীত ই-মেইল ঠিকানাগুলি ব্যবহার করে একটি ই-মেইল সংক্রান্ত ডাটাবেস তৈরি করা হয়।
টার্গেটিং অডিয়েন্স : ডাটাবেসের ভিত্তিতে টার্গেট করে অডিয়েন্স তৈরি করা হয় এবং নির্ধারিত অডিয়েন্সদের ই-মেইলে বিভিন্ন পরিষেবা, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি প্রচার করা হয়।
প্রমোশনাল পণ্য বা পরিষেবা: আপনি আপনার ই-মেইল সংগ্রহকৃত সদস্যদেরকে প্রমোশনাল পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে বিজ্ঞাপন প্রেরণ করে আপনার ব্যবসায় প্রচার করতে পারেন। এটি সম্ভবত আপনার ব্যবসায়ের বিক্রয়ে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
ই-মেইল নিউজলেটার বা ব্লগ: আপনি একটি ই-মেইল নিউজলেটার বা ব্লগ প্রকাশ করলে আপনি নতুন সদস্যদেরকে সংগ্রহ করতে পারেন এবং প্রতিটি নিউজলেটার বা ব্লগ প্রকাশে আপনার ব্যবসায়ের বিজ্ঞাপন বা প্রচার করতে পারেন।
যারা এই ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing) দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর থেকে আয় করে তারা সাধারণত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন থাকে, তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা দিয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) হলো একটি ব্যবসায়িক মডেল যা কোনো কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে একটি ব্যবসায়িক কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের (যারা ওয়েবসাইট বা ব্লগ মাধ্যমে ট্রাফিক বেশি থাকে) তারা অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রদান করে। যখন এই অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারী কোনো কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা ক্রয় করে বা কোন ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার একটি কমিশন পায়, এর মাধ্যমে খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে পরে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার প্রথমে একটি ওয়েবসাইট, ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে, যেখানে আপনি অর্গানিক অধিক ট্রাফিক থাকে। তারপরে আপনাকে কো ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্টের জন্য অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করতে হবে, এটি সাধারণত বিশেষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্ম বা কোম্পানির ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত হওয়ার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন হয় এবং তা থেতে আয় করতে পারে। এটি মুলত প্রডাক্টের মুল্যের উপর কিছু কমিশন পায় তার মাধ্যমে এই ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করে বা ইনকাম করে।
শুধু এই কয় প্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং নয়, ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটি প্লাটফর্ম যেখানে অনেক কাজ রয়েছে। তাই এর সঠিক প্রকারভেদ করা খুব কঠিন। উপরে উল্লেখিত চাহিদা মূলক প্রকারভেদ আলোচনা করা হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং এ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি?
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ হলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য অনলাইনে প্রচার ও প্রচারণা করার জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে টার্গেট কাস্টমারদের আকর্ষণ করা। এর মধ্যে মার্কেটিং পরিকল্পনা করা, ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ প্রচার, ইমেল মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এসইও মার্কেটিং, পেইড সার্চ মার্কেটিং (PPC), এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, ইভেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি সহ বিভিন্ন কার্যকারিতা থাকে।
এই ধরনের কাজের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটাররা ক্লায়েন্টের সাথে চুক্তি করে এবং তাদের লক্ষ্যগুলি জানতে পারেন। তারপরে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োগ পরামর্শ দেয় এবং পরিচালনায় সহায়তা করেন। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ প্রয়োজনীয় মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করে এবং অনলাইন প্রচার করার জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন।
ডিজিটাল মার্কেটাররা পরিবর্তনশীল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানোর ফ্রিল্যান্সিং এ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ হলো বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য অনলাইনে প্রচার ও প্রচারণা করা। এর মাধ্যমে টার্গেট কাস্টমারদের আকর্ষণ করে অর্গানিক ট্রাফিক পায় এবং অধিক বিক্রয় হয়ে থাকে। এই কাজের উপর ভিত্তি করে মার্কেটারগণ তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন উপায়ে আয় করে থাকে।
২০২৩ এবং ২০২৪ সালে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটাররা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পে কাজ করেন। তারা ক্লায়েন্টের সাথে সাক্ষাতকার করে তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য জানতে পারেন। তারপরে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োগ পরামর্শ দেয় এবং পরিচালনায় সহায়তা করেন। এই কাজগুলো সাধারণত দক্ষতা সম্পন্ন ডিজিটাল মার্কেটরগন করে থাকেন।
২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব? A to Z
২০২৪ সালে আপনি কি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাচ্ছেন? এবং জানতে চাচ্ছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব? A to Z তাহলে, এই পোস্টটি আপনার জন্য। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত একটি জনপ্রিয় পেশা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। সকলেই চাই ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব এবং কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করবো। কিন্তু এটি করতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ঠ কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় জানতে হবে। তারপরে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। নিচে আলোচনা করা হলো কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করা উচিত:
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
প্রথমেই, আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনি কি সম্পূর্ণ অনলাইন ব্যবসায় নতুন হয়েছেন নাকি আপনার বর্তমান ব্যবসা কে ডিজিটাল প্রচার দিয়ে আরও উন্নত করতে চান, বা আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং প্রয়োগ করে আয় করতে চান তা নির্ধারণ করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই দরকারী জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পড়াশোনা করুন, অনলাইনে কোর্স করতে পারেন এবং টিউটোরিয়াল দেখতে পারেস, ওয়েবসাইট এবং সম্প্রতির ট্রেন্ড সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
আপনি যদি ইচ্ছুক হন, যে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব? তাহলে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং পাঠ্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য কোর্স করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স প্রদান করে থাকে।
টার্গেট পাবলিক নির্ধারণ করুন
আপনার পণ্য বা পরিষেবার জন্য আপনি কোন অডিয়েন্স এর দিকে প্রচার করতে চান সেটি নির্ধারণ করুন। তারপর কোনো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হন, এতে আপনাকে অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স, গুগল এ্যাডওয়ার্ড্স ট্রেনিং কোর্স, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন কোর্স, ইমেইল মার্কেটিং কোর্স, এসইও কোর্স ইত্যাদি শেখার উপায় জানার পর জ্ঞান অর্জন করে টার্গেট পাবলিক নির্ধারণ করতে পারবেন।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন
আপনার ডিজিটাল প্রচারের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন। আপনি নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা ইচ্ছা হলে কোনো ওয়েব ডেভেলপারের সাহায্য নিতে পারেন। ওয়েবসাইটে আপনার পণ্য বা পরিষেবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, প্রচারের লক্ষ্য, যোগাযোগের তথ্য ইত্যাদি থাকবে, যেমন আপনি কি সেবা প্রদান করবেন, কোন বিষয় আপনি অভিজ্ঞ সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এগুলিতে অপটিমাইজ করে প্রচার করা যায় খুব সহজে এবং ব্যাপকভাবে। আপনি আপনার লক্ষ্যমাত্রিতে প্রচার করতে চান তাহলে সম্ভাবত একটি বা একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে। আপনি একটি করে করে প্ল্যাটফর্ম শুরু করতে পারেন এবং পরে অন্য প্ল্যাটর্ফগুলোতে সহজেই কাজ করতে পারবেন। অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় জেনে শুরু করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়? কি কি শেখানো হয়?
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব? ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়? অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়গুলো কি কি? আপনার প্রশ্ন যদি এগুলো হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই ব্লগ পোস্ট থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় এর জন্য আপনি ফ্রি এবং পেইড উভয় পদ্ধতিতেই শিখতে পারেন। ফ্রি উপায়ে, আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন পরিশ্রম এবং সময় নিয়ে। আর পেইড উপায়ে আপনাকে প্রথমে টাকা খরচ করতে হবে, কারন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সঠিকভাবে এর ব্যাবহার, কাজের ধরন, কিভাবে সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করবেন তা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় এর জন্য কিছু নিম্নলিখিত পদক্ষেপ ব্যবহার করা যেতে পারে:
অনলাইন কোর্স
আপনি অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্স অনুসরণ করতে পারেন। এই কোর্সগুলি রয়েছে বিভিন্ন প্লাটফর্মে, যেমন Udemy, Coursera, LinkedIn Learning, ইত্যাদি। এই কোর্সে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং পরিচিতি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, পেইড এডভার্টাইজিং, এসইও ইত্যাদি বিষয়ে শিখতে পারবেন। এই উপায়টি আপনকে টাকা খরচ করতে হবে। করন ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সঠিক নয়, তবে নতুনদের জন্য ভালো দিক হতে পারে। যেমন: ওয়েবসাইট ও ব্লগ পড়া, অনলাইন রিসোর্স ইত্যাদি।
ওয়েবসাইট ও ব্লগ পড়া
Digital Marketing – ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ব্লগ পড়া একটি উত্তম। কারন, আপনি উচ্চ মানের বিষয়বস্তু দ্বারা পরিপূর্ণ ওয়েবসাইট এবং ব্লগ পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ও প্রক্রিয়া, টিপস এবং ট্রিকস জানতে পারবেন।
অনলাইন রিসোর্স
ইন্টারনেটে বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স রয়েছে যা আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শিখতে সাহায্য করতে পারে। এগুলির মধ্যে আছে ইউটিউব ভিডিও, পডকাস্ট, ইবুক, ইনফোগ্রাফিকস, এবং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় জানতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে?
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে একটি বেসিক কোর্স বা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে করা যেতে পারে, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে তা বলতে গেলে, মুলত ৩ মাস ব্যাপী থেকে ৬ মাস ব্যাপী হয়ে থাক । ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে তা নির্ভর করে এই কোর্সে আপনি (Digital Marketing) ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেসিক মূলধারা, পরিচিতি এবং প্রাথমিক প্রযুক্তি সমূহ কিভাবে শিখছেন, কতটা সময় দিচ্ছেন তার উপর। এছাড়াও, এই কোর্সে আপনাকে অনেক বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং টুল এবং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার জ্ঞান দেওয়া হবে যার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনি আপনার সার্ভিস বা পণ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলো শিখেন তা ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি যদি একটি ডিপ্লোমা কোর্স বা উন্নত মানের পেইড কোর্স করতে চান, তবে এটি সাধারণত ৬ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষনের জন্য হয়। এই কোর্সে আপনি উচ্চতর স্তরের ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তি, পরিচিতি এবং ক্ষেত্রের সুপরিচিত টুল এবং সম্প্রতি ব্যবহৃত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত শিখতে পারবেন। এই ধরনের কোর্স ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য উচ্চতর মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং আপনাকে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্যারিয়ার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে এবং আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও, কিছু কোর্স ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আপনি অনেক সময় না দেয়ার জন্য বেস্ট উপায় হচ্ছে একটি প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হওয়া। এই কোর্সগুলো আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় ও প্রযুক্তিগত স্কিল এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য ভালো দিক হবে। আপনি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের পদ্ধতি ও মেয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। একেক ধরনের কোর্সে বিভিন্ন সময় নির্ধারন করা থাকে।
একটি বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সাধারণত ৩ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করা যায়। এই কোর্সে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূলপাঠ এবং প্রাথমিক প্রযুক্তিগুলি শিখতে পারবেন। তবে আপনি যদি একটি উন্নত মানের পেইড কোর্স বা ডিপ্লোমা কোর্স করতে চান, তবে এটি সাধারণত ৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করা যায়। এই কোর্সে আপনি উচ্চতর স্তরের ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তিগুলি, পরিচিতি এবং এতে আরো বেশি সুবিধা পাবেন। এবং পেইড কোর্সগুলো সাধারণত ফ্রি কোর্স থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও সুবিধা?
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি উদ্যোগ যা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবার বিপণন করে এবং লক্ষ কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি একটি এমন মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা গ্লোবাল বাজারে ব্যাপক ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর বিকাশে সহায়তা করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলো নিম্নরূপঃ
দ্রুত ও নির্ভরযোগ্যতা : ডিজিটাল মার্কেটিং দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য সুযোগ সরবরাহ করে। বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা দ্রুততারে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। এটি দ্রুত ফলাফল সাধারণত প্রাপ্ত করতে পারে।
টার্গেটেড এবং সম্প্রতিষ্ঠিত পাবলিক : ডিজিটাল মার্কেটিং দ্বারা আপনি আপনার লক্ষ্যমূলক পাবলিককে সহজেই নিশ্চিত করতে পারেন। আপনি আপনার কাস্টমারদের উচ্চতর অনুসন্ধান করতে পারেন এবং তাদের পছন্দ ও আগ্রহ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন। এটি সামগ্রিকভাবে আপনার লক্ষ্যমূলক পাবলিককে সম্প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা দিবে।
প্রভাবশালী মার্কেটিং সংস্থান : ডিজিটাল মার্কেটিং কোন প্রভাবশালী মার্কেটিং পরিকল্পনা সাধারণত অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণের সাথে সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করে। এটি আপনাকে রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক বাজারে আপনার প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সাহায্য করে। যা একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক। এবং এর সুবিধাও রয়েছে যেমন খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয় করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায়, ইনকাম করার উপায়?
২০২৩ ও ২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য সর্বপ্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে খুব ভালো অভিজ্ঞতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং এ পুরোপুরি অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তখন আপনি আপনার পছন্দ মত যে কোন একটি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে সহজেই আয় করতে পারবেন। সেটা হতে পারে আপওয়ার্ক অথবা ফাইবার বা অনন্য প্লাটফর্ম।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি অনেক উপায়ে আয় করতে পারেন বা ইনকাম ও টাকা উপার্জন করতে পারেন। কিছু প্রধান উপায় আলোচনা করা হলো :
- সম্প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি: আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল শিখে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিস্টদের চাহিদা রয়েছে যারা বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে পারেন। যা আপনার ভবিষ্যৎ ও ক্যারিয়ারের জন্য সেরা চয়েস হতে পারে।
- ফ্রিল্যান্সিং: আপনি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এটি আপনাকে সকল সুবিধা দেয় এবং আপনি বিভিন্ন প্রকল্পে ডিজিটাল মার্কেটিং পরিচালনা করে ইনকাম উপার্জন করতে পারেন। আপনি ফাইভার, উপযুক্ত এবং অন্যান্য অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আপনার প্রফাইল তৈরি করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টদের কাজ পেতে পারেন। তার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে যোগদান করতে পারেন। এই প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক পেয়ে তা আপনার ট্রাফিক সাইটেঅংশীদারদের প্রতি পণ্যের মাধ্যমে প্রেরণ করতে পারেন। যখন কেউ আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করে পণ্য কিনবে অথবা সেবা গ্রহণ করবে, তখন আপনি কমিশন পাবেন এবং আয় করতে পারবেন। আপনার কমিশনের পরিমাণ বিক্রয়ের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে অন্যান্য মার্কেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্য প্রচার করতে পারেন এবং আপনার উপযুক্ত পাবলিসিটি ব্যবহার করতে পারেন যাতে আপনি আপনার পরিচিতি বাড়াতে পারেন এবং আপনার আয় বা ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারেন।
- ব্লগিং এবং ভিডিও সংবাদপত্র: যদি আপনি লেখা লেখি করতে ভালো পারেন বা ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনি একটি ব্লগ বা ভিডিও সংবাদপত্র শুরু করতে পারেন। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত বিষয়গুলি আলাপ করতে পারেন, পরামর্শ প্রদান করতে পারেন এবং আপনার পাঠকদের জন্য ভালো সংস্থা সংক্রান্ত পণ্য বা সেবা পরামর্শ করতে পারেন। আপনি আপনার ব্লগ বা ভিডিও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রদান করতে পারেন এবং আপনার পাঠকদের ধারণা প্রদান করতে পারেন। এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি এবং ক্যারিয়ার হিসেবে কেমন হবে?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন খুব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ এর চাহিদা আরো কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটি দৈনন্দিন বেড়ে চলছে এবং এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং সেটি ভবিষ্যৎ এ আরও উন্নত হবে। বিশেষভাবে, সোশ্যাল মিডিয়া, ই-কমার্স, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, এবং ডেটা এনালিটিক্স ইত্যাদি বৃদ্ধি পাবে। ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে সফল হবেন।
Digital Marketing – ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার হিসেবে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলা যায় এবং সম্প্রসারণও হচ্ছে, এর জন্য আপনাকে স্কিল এবং উন্নতির দিকে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটারদের ব্যক্তিগত বৃদ্ধি সাধারণ হতে থাকতে পারে। নতুন ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তি এবং প্ল্যাটফর্মে সাবাদ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হবে ডিজিটাল মার্কেটারদের ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জন করতে।
সোশ্যাল মিডিয়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করেছে। প্রায় সবাই বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন এবং এটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগ স্থাপন করার একটি ব্যাপক উন্নয়নশীল প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে সোশ্যাল মিডিয়া আরো বিপুল অবদান রাখবে এবং নতুন প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্য করে আরও উন্নত হবে। এবং ভিডিও বা স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে একটি চরম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন পাবে।
ভিডিও সামগ্রিকভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানরা এটি ব্যবহার করে তাদের প্রোডাক্ট এবং সেবাগুলি প্রমোট করতে পারে। ভবিষ্যতে ভিডিও সম্প্রচার সেবাগুলি আরও উন্নত হবে এবং জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করবে যা ব্যবহারকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে।
☞ অনলাইন ইনকাম রিলেটেড পোস্ট পড়ুন: এখানে
তাই বলা যায়, আপনি যদি Digital Marketing – ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় জানেন এবং সঠিকভাভে ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ ও ক্যারিয়ার উন্নত হবে নিশ্চিত থাকুন। কারন ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করা এখন সহজ উপায়, তবে যারা নতুন শিখতে চাচ্ছে তাদের জন্য কিছুটা কষ্টকর হতে পারে, তবে আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ চালিয়ে যান এবং সময় দেন তাহলর আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ গরতে পারবেন। অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারন করে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
উপসংহার: আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য প্রস্তুত হন, তখন আপনার বর্তমান বিপণন প্ল্যাটফর্মটি মূল্যায়ন করুন যে এটি বহুমুখী ডিজিটাল বিপণন প্রচারাভিযান পরিচালনা করতে পারে কিনা। কারন বর্তমানে যেমন এর চাহিদা বেশি তেমনি এর কম্পিটিশন ও বেশি। তাই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে সঠিক নিয়মে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় জানতে হবে। এবং কিভাবে আপনি এটি শুরু করবেন তা নিশ্চয়ন করতে হবে।
আপনি যদি প্রথমেই ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনার জন্য এটি নয়, একজন প্রফেশনাল মানের ডিজিটাল মার্কেটর হতে হলে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে, সময় দিতে হবে, সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শিখানো হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে। কোনটি আপনার জন্য পারফেক্ট সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ২০২৩ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ বা ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং নিতে পারেন।
আপনি যদি পর্যাপ্ত সময় না দিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য, ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোনো প্লাটফর্মে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। তাই প্রথমে আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট কাজ বাছাই করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন এবং ভবিষ্যৎ ও ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়া সহজ হবে।
আশা করি আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে, কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে A to Z এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন :
Facebook Page : https://facebook.com/rvwbd/
Facebook Group : Join Now
thanks for this information
Stay With Us For More ❤️🩹