মনোবিজ্ঞান কি? মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ও পরিধি বা পরিসর আলোচনা কর।

মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু

মনোবিজ্ঞান কি? মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ও পরিধি বা পরিসর আলোচনা কর।

আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব ( What Is Psychology ) মনোবিজ্ঞান কি? বা মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা, মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু, মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর এবং ক্ষেত্র সমূহ সম্পর্কে। বর্তমানে মনোবিজ্ঞানকে আধুনিক মনোবিজ্ঞান হিসেবে ধারণা করা হয়। যদিও আধুনিক মনোবিজ্ঞান বেশি দিনের নয়, তবে এটি প্রথমে ছিল দর্শনের পরবর্তীতে বিজ্ঞান হিসেবে রূপ নেয়। নিচের বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু
বর্তমানে মনোবিজ্ঞান একটি জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। এর কারণ মনোবিজ্ঞানীরা প্রায় প্রতিদিনই মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গবেষণা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এমন এক সময় ছিল যখন সাধারণ মানুষ মনে করত যে, মনোবিজ্ঞান শুধু মন নিয়ে আলোচনা করে কিন্তু আজকে ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে।

আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে, প্রাচীনকালে দার্শনিকগণ মনোবিজ্ঞানকে যেই অর্থে সংজ্ঞায়িত করেছেন সেই অর্থে আধুনিক বিজ্ঞানীরা মনোবিজ্ঞানকে সংজ্ঞায়িত করেনা। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল :

  • গ্রীক দার্শনিক প্লেটোর মতে মনোবিজ্ঞান আত্মা সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান

এরূপ সংজ্ঞা অস্পষ্ট, কারণ মন বা আত্মা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে অনুদান করা যায় না সুতরাং এ সংখ্যাটি বর্তমানে অচল।

  • জার্মান মনোবিজ্ঞানী উইলহেম উন্ডের মতে, মনোবিজ্ঞান একটি চেচনার বিজ্ঞান

আধুনিক মনোবিজ্ঞানের চেতনা কে মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেননি। আচরণবাদীরাও এ সংজ্ঞা তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন যে, চেতনা মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হতে পারে না কেননা চেতনা বাহ্য প্রত্যক্ষণের বিষয় নয়।

আমেরিকার মনোবিজ্ঞানী জে. বি. ওয়াটসন ১৯১৩ সালে ” Psychology As The Behaviour Views It ” নামাক প্রবন্ধের যুক্তির সাথে উল্লেখ করেন যে মনোবিজ্ঞান মানুষ ও প্রাণীর আচরণের বিজ্ঞান। তারে বক্তব্য দ্বারা অপরাজিত হয়ে অনেক মনোবিজ্ঞানীগণ মনোবিজ্ঞানকে আচরণের বিজ্ঞান হিসেবে সংগ্রহীত করেছেন।

 

☞ আরো পড়ুন :  অনার্স ১ম বর্ষ মনোবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ | Psychology

 

মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও বা মনোবিজ্ঞান কি?

মনোবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ psychology। এ psychology শব্দটির দুটি গ্রিক শব্দ ” psyche ” ( মন বা আত্মা ) এবং ” Logos ” ( বিজ্ঞান) থেকে উৎপত্তি হয়েছে। সুতরাং শব্দার্থ অনুযায়ী মনোবিজ্ঞানকে বলা যায়, মন বা আত্মা সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান। ১৯১৩ সালে আচরণবাদের প্রবক্তা আমেরিকার মনোবিজ্ঞানী ওয়াটসন তার বিখ্যাত গ্রন্থে প্রকাশ করেন যে, মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হলো মানুষ ও প্রাণীর আচরণ এবং এরূপ আচরণ অনুদানের জন্য নিরীক্ষণ ও পরীক্ষণ হলো গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। সুতরাং আমরা দেখতে পাই যে, মনোবিজ্ঞান প্রথমে আত্মা বা মনের বিজ্ঞান, তারপর চেতনার বিজ্ঞান এবং সর্বশেষে আচরণ বিজ্ঞান হিসেবে অতিবুদ্ধ করা হয়েছে।

মোট কথা বলা যায় : মনোবিজ্ঞান হলো এমন একটি বিজ্ঞান যা মানুষ ও প্রাণীর আচরণ এবং মানসিক প্রক্রিয়া সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে অনুধ্যান করে। এ সংজ্ঞার মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে : আচরণ, মানসিক প্রক্রিয়া, প্রাণী ও বিজ্ঞান।

 

মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ও পরিধি বা পরিসর আলোচনা করো?

মনোবিজ্ঞানের প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো মানুষ ও অনন্য প্রাণীর আচরণ। আচরণ শব্দটির অর্থ মনোবিজ্ঞানে খুবই ব্যাপক। আচরণ বলতে প্রাণীর সেই সকল কার্যবলীকে বোঝায় যা গবেষক বা কোন ব্যক্তি পর্যবেক্ষণ করতে পারে, লিপিবদ্ধ করতে পারে এবং গবেষণাগারে পরিমাপ করতে পারে। জীবজন্তু প্রাণীরা বা জীবজন্তুরা একটি পরিসরের যে গতিপ্রকৃতি করে তা সবই আচরণের অন্তর্ভুক্ত। মনোবিজ্ঞানীরা আচরণ কে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করেন : বাহ্যিক আচরণ ও অভ্যন্তরীণ আচরণ, আণবিক আচরণ ও সামগ্রিক আচরণ , ঐচ্ছিক আচরণ বা অনচ্ছিক আচরণ, মানসিক প্রক্রিয়া।

মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ও পরিধি বা পরিসর আলোচনা করা যায় নিম্ন কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে, যার নিচে মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ও পরিধি বা পরিসর বর্ণনা করা হলো :

 

মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু আলোচনা করো?

নিম্নলিখিত কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু কে বর্ণনা করা যায়।

গবেষণা পদ্ধতি

মানুষ এবং অনন্য প্রাণীর আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়া সম্বন্ধে অনুধাবন করার ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞান বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে যেমন আন্তদর্শন, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ, পরিসংখ্যামূলক পদ্ধতি, চিকিৎসা মূলক, পদ্ধতির জরিপ পদ্ধতি ইত্যাদি। আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অনুধাবনের জন্য যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সেগুলো বিস্তারিত বিষয়বস্তু মনোবিজ্ঞানে আলোচনার অংশ।

স্নায়ুতন্ত্র

আমাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জৈবিক ঘটনাসমূহের প্রভাব অপরিসীম। স্নায়ুতন্ত্রের আলোচনার মাধ্যমে আমরা জৈবিক ঘটনা সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা লাভ করতে পারি।

প্রেষণা

ব্যক্তিবা প্রাণী তার প্রেষণা পূরণের জন্য কর্মে উদযোগী হয় এবং নির্বাচিত আচরণ করে। প্রাণী ও মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের প্রেষণার উদ্ভব হয়। এসব প্রেষণা মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত ।

আবেগ

আবেগ মনোবিজ্ঞানের একটি অন্যতম বিষয়বস্তু। আবেগের ক্রমবিকাশ, আবেদকালীন ব্যক্তির দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন মনোবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়বস্তু।

শিক্ষণ

শিখনের মাধ্যমে ব্যক্তি বিভিন্ন কলা কৌশল আয়ত্ত করে নতুন পরিবেশে দূরত্ব এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া করতে সক্ষম হয়। আর এ জন্য শিক্ষণ সম্পর্কিত মতবাদ, শ্রেণীবিভাগ, শিক্ষণের নীতিসমহ মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত।

বুদ্ধি

বুদ্ধি সম্পর্কে আলোচনা মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধি অভীক্ষা প্রণয়ন করে মানুষের বুদ্ধি পরিমাপ নির্ণয় করে থাকেন না।

প্রত্যক্ষণ

কিভাবে আমরা অসংগঠিত বিষয়কে সংঘটিত করে প্রত্যক্ষণ করি তা প্রত্যক্ষণ আলোচনা থেকে জানা যায়। আর এজন্য প্রত্যক্ষনের সংগঠন, প্রতীক পটভূমি সম্পর্ক, গভীরতা প্রত্যক্ষণ, অলিক প্রতক্ষণ, ভ্রান্ত প্রত্যক্ষণ মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুতি অন্তর্ভুক্ত আছে।

ব্যক্তিত্ব

ব্যক্তিত্ব মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যক্তিত্বের স্বরূপ, উপাদান, প্রকারভেদ এবং ব্যক্তিত্বের পরিমাপ পদ্ধতির প্রকৃতি বিষয়ক সম্পর্কে এ বিজ্ঞান আলোচনা করে থাকে।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে

মনোবিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে মানসিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার কাজ সহজ হয়েছে। তাই মানসিক রোগ, মানসিক রোগের প্রকারভেদ ও চিকিৎসাস প্রণালী মনোবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়।

সামাজিক আচরণ

সামাজিক পরিবেশে ব্যক্তি কি ধরনের আচরণ করে তা মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। শিশুর সামাজিকীকরণ, সামাজিক রীতিনীতি, মূল্যবোধ, মনোভাব, জনমত, প্রচারণা প্রভৃতি সামাজিক সমূহ আলোচিত হয়।

শিশুর আচরণ

শিশুর বয়স বৃদ্ধির ফলে তার দৈহিক ও মানসিক বিকাশের বিভিন্ন পর্যায় ঘটিত আচরণ সমূহ মনোবিজ্ঞানে আলোচনা করে থাকে।

শিল্প ক্ষেত্রে আচরণ

শিল্প কারখানা যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, উৎপন্ন দ্রব্য সামগ্রী বাজারজাতকরণ, কর্মচারী নির্বাচন, শ্রমিক মালিক সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে মানুষদের সব আচরণ করে মনোবিজ্ঞান তা আলোচনা করে থাকে।

 

এছাড়াও বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু রয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর আচরণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়, যা প্রায় বিজ্ঞানসম্মত বলা যায়।

 

মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর আলোচনা করো?

ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হলো প্রাণীর আচরণ। আচরণ শব্দটি অত্যন্ত ব্যাপক। মনোবিজ্ঞানীরা আচরণকে বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করেন। এর মাধ্যমে মনোবিজ্ঞানের পরিদী বা পরিসর বা আলোচনার ক্ষেত্রে বেড়ে গেছে। মনোবিজ্ঞানের আলোচনার ক্ষেত্রে গুলো বা মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর হলো : শিশু বিষয়ক মনোবিজ্ঞান, সমাজ মনোবিজ্ঞান, শরীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান, শিল্প মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান, পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞান প্রভৃতি হল মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর এর আলোচনার মূল বিষয়।

শিশু বিষয়ক মনোবিজ্ঞান

শিশু মনোবিজ্ঞান উন্নয়নশীল আচরণ অর্থাৎ শিশুর আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। শিশুর বয়োবৃদ্ধি ও শারীরিক পরিবর্তন হলে তার আচরণের মধ্যে যে পরিবর্তন সৃষ্টি হয় তা মনোবিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে এবং বিশ্লেষণ করে থাকেন।

সমাজ মনোবিজ্ঞান

সমাজ মনোবিজ্ঞান শিশুর সামাজিকীকরণ, সামাজিক রীতিনীতি, মূল্যবোধ, মনোভাব, জনমত প্রভৃতি সামাজিক আচরণ সম্বন্ধে আলোচনা করে থাকে।

শারীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান

শরীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান স্নায়ুতন্ত্র, কেন্দ্রীয় তন্ত্রের গঠন ও কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করে। অর্থাৎ শরীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞানের বিকাশের ফলে মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিল্প মনোবিজ্ঞান

শিল্প মনোবিজ্ঞান শিল্পীর যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, উৎপন্ন দ্রব্য, কর্ম বিশ্লেষণ, শ্রমিক ও মালিকের আচরণ সম্পর্কে মনোবিজ্ঞানের পরিধি ও পরিসর এরমধ্যে আলোচিত হয়।

শিক্ষা মনোবিজ্ঞান

শিক্ষা মনোবিজ্ঞান শিক্ষনের নানাবিদ দিক দিয়ে আলোচনা করে থাকে। যেমন; পরীক্ষার পদ্ধতি, পাঠদান পদ্ধতি, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ, ছাত্র ও শিক্ষকের সম্পর্ক ইত্যাদি মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর এর অন্তর্ভুক্ত।

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে মানসিক রোগ নির্ণয় ও এর চিকিৎসা করা সহজ উপায় হয়েছে। যার মাধ্যমে যেকোন মানসিক রোগীকে খুব সহজেই বিভিন্ন বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞান

পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে বিজ্ঞানী পরীক্ষন পদ্ধতির প্রয়োগ করে আচরণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে সক্ষম হয়েছেন। পরীক্ষণ হল মনোবিজ্ঞানের একটি শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি যার মাধ্যমে সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা করতে পারে।

 

উল্লেখিত মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর, ক্ষেত্র সমূহ ছাড়াও মনোবিজ্ঞানের কর্ম পরিধি অপরাধপ্রবণতা, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয়, সামরিক ও বেসরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা প্রবৃত্তি ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। অর্থাৎ মনোবিজ্ঞানের আলোচনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যাপক। এজন্য অনেকে বলেন যেখানে মানুষ আছে সেখানে মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর রয়েছে।

 

শেষ কথা : আজকের পোস্টে, মনোবিজ্ঞান কি বা মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা এবং মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু এবং মনোবিজ্ঞানের পরিধি বা পরিসর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। মূলত মনোবিজ্ঞান উইলহেম উন্ড ও উইলিয়াম জেমস এর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য মনোবিজ্ঞান আজ স্বাধীন মনোবিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বহু যুগ পূর্বে মনোবিজ্ঞান দর্শনের কাছ থেকে পৃথক হলেও মনোবিজ্ঞানের কাজের মধ্যে আজও বিভিন্ন দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যায়। তবে আধুনিক মনোবিজ্ঞানের সৃষ্টির ফলে মনোবিজ্ঞান দর্শনের থেকে একদমই আলাদা যা মনোবিজ্ঞান একটি বিজ্ঞানসম্মত ধারণা।

 

অনার্স প্রথম বর্ষ মনোবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৪ সালের  পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০% কমন উপযোগী স্পেশাল শর্ট সাজেশন পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের কমন উপযোগী সাজেশন প্রদান করে থাকি।

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন :

https://facebook.com/rvwbd/

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *